পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QQ cबगांठयंह মিথ্যাপদবাচ্য। আত্মজ্যোতিঃই আত্মার স্বরূপ, তাহ নিত্য । যিনি সর্বান্তর আত্মা, যার অপর নাম সাক্ষীচৈতন্য, তিনি সুষুপ্তিরও পরে নিত্য বর্তমান। র্তাহাকে বাদ দিয়া জাগ্ৰাৎকালেও অনুরাগ, ভক্তি ইত্যাদির অনুভব অসম্ভব । ইহা যে বুঝে, সেই অদ্বৈতব্ৰহ্মবাদী ব্ৰহ্মপ্রেম, ভক্তি ইত্যাদিকে স্বীকার করিতে পারে কি ? ৫৩ সূত্রে বর্ণিত পরমেশ্বরের জন কে বা কাহারা ? রামমোহন গ্ৰন্থাবলীর দ্বিতীয় সংস্করণের ৫২৫ পৃষ্ঠায় তাহ আছে। রামমোহন লিখিয়াছেন, পরমেশ্বর জীব হইতেও অধিক প্রিয় হয়েন, যেহেতু পরমেশ্বরের অধিষ্ঠান সর্বদা শরীরে আছে, অর্থাৎ সুষুপ্তি সময়ে সকল লয় হইলেও পুনরায়, জীবকে পরমেশ্বর প্রবৃত্ত করেন। অর্থাৎ সুষুপ্তিতে যে পরমেশ্বরে শয়ান ছিলাম, তিনি ছিলেন, তিনিই পুনরায় প্ৰবৃত্ত করিলেন, এই বোধ হইলেই পরমেশ্বর সর্বাপেক্ষা প্রিয় হন, নতুবা প্রিয় হইতে পারেন না। সুতরাং বোধই গ্ৰীতি। রামমোহন পুনরায় লিখিয়াছেন, মনুষ্যের যাবৎ ধর্ম দুই মূলকে আশ্রয় করিয়া থাকেন। এক এই যে, সকলের নিয়ন্ত পরমেশ্বরেতে নিষ্ঠা রাখা । দ্বিতীয় এই যে, পরস্পর সৌজন্যেতে এবং সাধু ব্যবহারেতে কাল হরণ করা । তিনি এই আলোচনার শেষে পুনরায় লিখিয়াছেন, পরমেশ্বরকে এক নিয়ন্তা প্ৰভু জ্ঞান করা, আর র্তাহার সর্বসাধারণ জনেতে স্নেহ রাখা আমাদিগকে পরমেশ্বরের কৃপাপাত্ৰ করিতে পারে। সুতরাং ৫৩ সূত্রে পরমেশ্বরের জন বলিতে সর্বসাধারণ জনকেই বুঝাইতেছে। ৫৩ সূত্রে রামমোহন জনসাধারণের প্রতি গ্ৰীত্যনুকুল ব্যাপারকে মুখ্য উপাসনার অন্তভুক্ত করিয়াছেন কেন ? তাহা বুঝিতে হইলে রামমোহনের জীবনাদর্শ জানিতে হয়। রামমোহন গৃহস্থাশ্রমী ছিলেন। ‘ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের লক্ষণ’ নামক পুস্তিকার প্রথম অংশে রামমোহনের জীবনাদর্শের বিবরণ পাওয়া যাইবে । ছাঃ ৫।১৮।১। মস্ত্ৰে ব্ৰহ্মা প্ৰজাপতিকে এবং প্ৰজাপতি মনুকে যে উপদেশ দিয়াছিলেন, তাহ রামমোহনের জীবনাদর্শ। অনুষ্ঠান নামক পুস্তকে ( গ্রন্থাবলী ২য় সংস্করণ ৪.০৮ ও ৪০৯, পৃঃ দ্রষ্টব্য) বলিয়াছেন আমরা জগতের কারণ ও নির্বাহকর্তা এই উপলক্ষ করিয়া উপাসনা করি ; প্ৰত্যেক দেবতার উপাসকেরা সেই সেই দেবতাকে জগৎকারণ ও জগতের নির্বাহকর্তা এই বিশ্বাসপূর্বক উপাসনা করেন ; সুতরাং তঁহাদের বিশ্বাসানুসারে আমাদের