পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেদ মানিব কেন?

কথা থাকায় বেদের পুনরাবির্ভাবের কথনই উক্ত বাক্যের তাৎপর্য্য।

পক্ষান্তরে বেদমধ্যেই আছে “ব্রহ্মনিঃশ্বসিতং বেদঃ” অর্থাৎ বেদ ব্রহ্ম হইতে নিঃশ্বাসের ন্যায় আবির্ভূত হইয়াছে, ইহাতে তাঁহার কোন প্রযত্ন আবশ্যক হয় নাই। বাক্যরচনায় যেরূপ প্রযত্নের আবশ্যক হয়, ইহাতে সেরূপ প্রযত্ন প্রয়োজন হয় নাই। সুতরাং ইহা ঈশ্বরের রচিতও নহে। যাহা নিঃশ্বাসের ন্যায় বহির্গত হয় তাহার রচনা সম্ভব হয় না।

তৎপরে আবার আছে—"বিরূপ! নিত্যয়া বাচা” অর্থাৎ “হে বিরূপ! বেদরূপ নিত্য বাক্যের দ্বারা স্তুতি কর” ইত্যাদি। এস্থলে বেদমধ্যেই বেদবাক্যকে নিত্যই বলা হইতেছে। সুতরাং বেদের উৎপত্তিবোধক উক্ত “ব্রহ্মা হ দেবানাং” বাক্য এবং বেদের নিত্যতাবোধক উক্ত “বিরূপ! নিত্যয়া” বাক্য—এই আপাতবিরুদ্ধ বাক্যদ্বয়ের একবাক্যতা করিলে ইহাই সিদ্ধ হইবে যে, বেদের উৎপত্তিবোধক উক্ত বাক্যটী বেদের পুনরাবির্ভাববোধক বাক্য ভিন্ন আর কিছুই নহে।

যদি বলা হয়—উক্ত আপাতবিরুদ্ধ বেদবাক্যদ্বয়ের একবাক্যতার অনুরোধে 'উৎপত্তির' অর্থ 'পুনরাবির্ভাব' না করিয়া 'নিত্যকে' আপেক্ষিক নিত্য অর্থাৎ অনিত্য বলিলে দোষ কি? তাহার উত্তর এই যে, উৎপত্তিকে আবির্ভাব বলিয়া