পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե- বেদ মানিব কেন ? বুঝিলে উৎপত্তি ও আবির্ভাবের মধ্যে যেরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকে, নিত্যকে অনিত্য বলিয়া বুঝিলে নিত্য ও অনিত্যের মধ্যে সেরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকে না । উৎপত্তিটি পুনরাবির্ভাবের বিরোধী নহে, কিন্তু অনিত্যটি নিত্যের বিরোধীই হইয়া থাকে। সুতরাং উৎপত্তির সহিত পুনরাবির্ভাবের যেরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ, নিত্যের সহিত আনিত্যের সেরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ হয় না । বুদ্ধি, আলোকরশ্মির ন্যায় সরল পথেই গমন করে, আর সরল পথই নিকট পথ । এ স্থলে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধের গ্রহণই বুদ্ধির পক্ষে সরল পথে গমন । এজন্য উক্ত আপাতবিরুদ্ধ বেদবাক্যদ্বয়ের একবাক্যতা করিতে হইলে উৎপত্তির অর্থ পুনরাবির্ভাব করাই শ্রেয়ঃ, নিত্যকে অনিত্য করা শ্রেয় হইতে পারে না। অতএব বেদ নিত্য ও অপৌরুষেয় ইহা বেদদ্বারাই প্রমাণিত হইল । তাহার পর বেদ যে নিত্য ও অপৌরুষেয়, তাহা যুক্তির দ্বারাও বুঝা যায়! কারণ, যে ব্রহ্মার রূপধারা ঈশ্বর বেদবক্তা, সেই ঈশ্বরকর্তৃকও বেদের রচনাই সম্ভবপর হইতে পারে না । সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বরের পক্ষে রচনাই সম্ভবপর হয় না । কারণ, বেদকে যদি ঈশ্বররচিত বলিতে হয়, তাহ হইলে প্রশ্ন হইবে—বেদ রচিত হইবার পূৰ্ব্বে ছিল কি না ? যদি “ছিল” বলা হয়, তবে আর রচনাই সম্ভবপর হয় না।