পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о বেদ মানিব কেন ? আবিষ্কার করিবে কিরূপে ? ভাষা শিক্ষা করার অর্থই এই যে, শব্দের সহিত তাহার অর্থের অর্থাৎ বিষয়ের যে সম্বন্ধ তাহারই পরিচয়লাভ করা । অতএব ব্রাহ্মণভাগও কাহারও রচিত নহে । এমন কি ঈশ্বরেরও রচিত নহে। তাহীও মন্ত্রভাগের ন্যায় অরচিত অর্থাৎ অপৌরুষের নিত্য শহরোশি । যদি বলা হয় মনুষ্যরচিত রামায়ণ মহাভারতাদিও রচনার পূৰ্ব্বে ঈশ্বর জানিতেন, সুতরাং তাহদের রচনাই বা কি করিয়া সন্তাবিত হয় ? তাহার উত্তর এই যে, বেদকে রামায়ণ মহাভারতের দ্যায় নিত্য বলিয়া ত অরচিত বলা হইতেছে না । উহার বাল্মীকি ও ব্যাসের রচিত গ্রন্থ । উহাদের রচনার পূৰ্ব্বে ব্যাস বাল্মীকির মনে উহারা ভাসমান ছিল না । ঈশ্বরে উহারা ভাসমান ছিল, আর তাহা ব্যাস ও বাল্মীকির রচিতরূপেই ভাসমান ছিল । উগরা যখনই আবির্ভূত হইবে, তখন ব্যাস ও বাল্মীকির বুদ্ধির মধ্য দিয়াই ঈশ্বর হইতে আবির্ভূত হইবে—এইভাবেই ঈশ্বরে ছিল। সুতরাং ব্যাস ও বাল্মীকিকর্তৃক উহাদের রচনায় কোন বাধা ঘটিতে পারে না। আর তজ্জন্য বেদকে পৌরুষেয় ও অনিত্য বলিবার আবশ্যকতা নাই । আর যদি বলা হয়—ঈশ্বর যদি নূতনই কিছু না করিতে পারেন, তবে তাহার সর্বশক্তিমন্তা আর থাকিল কোথায় ?