পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ মানিব কেন ? > > ঈশ্বর সর্বজ্ঞ হইলে যদি তাহার নূতন রচনা অসম্ভব হয়, তবে র্তাহার সর্বশক্তিমত্তার হানি হইল। ইহার উত্তর এই যে, এই অনন্ত জগৎ জীবাদৃষ্ট অনুসারে অব্যক্ত হইতে ব্যক্ত করাতে ঈশ্বরের অনন্তশক্তিমত্তা সুতরাং সৰ্ব্বশক্তিমত্তাই প্রমাণিত হইয়া থাকে। জীবাদৃষ্ট অনুসারে স্বষ্টি না করিলে তাহাতে বৈষম্যনৈর্ণ্য দোষ ঘটিবে। আর জীবাদৃষ্ট অনুসারে স্বষ্টি করায় তাহার সর্বশক্তিমত্তার ব্যাঘাত যেমন হয় না, তদ্রুপ সৰ্ব্বজ্ঞত্বপ্রযুক্ত নূতন রচনা অসম্ভব হইলেও র্তাহার সৰ্ব্বশক্তিমত্তার ব্যাঘাত হয় না । বস্তুতঃ এরূপ আশঙ্কা করিলে বলিতে পারা যায় যে, ঈশ্বর যখন নিজে নিজের বিনাশ করিতে পারেন না, তখন তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান মহেন । কিন্তু তাহা ত বলা হয় না, অতএব সৰ্ব্বজ্ঞের রচনা সম্ভবপর হয় না, ইহাই সমীচী সিদ্ধান্ত । যদি বলা যায়, ঈশ্বর যে বেদের বক্তা, সেই বেদ যখন প্রতিকল্পে ঈশ্বর হইতে আবির্ভূত হয়, তখন তাহা পূৰ্ব্বকল্পের মনুস্মরচিত পূৰ্ব্বকল্পের শব্দরাশি হউক না কেন ? মনুষের অরচিত শব্দরাশিই যে তিনি কল্পারস্তে শিক্ষা দেন—ইহা স্বীকারের প্রয়োজন কি ? ইহার উত্তর এই যে, মনুষকে যখন বর্ণালুক শব্দরাশি শিক্ষাই করিতে হয়, শিক্ষা না করিলে যখন তাহা আপনা-আপনি বিকশিত হয় না, তখন অরচিত