পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>レア বেদ মানিব কেন ? যদি বলা হয় বেদমধ্যে প্রত্যেক মস্ত্ৰে ঋষি ছন্দঃ ও দেবতা প্রভৃতির উল্লেখ আছে। এই ঋষিই সেই বেদমন্ত্রের রচয়িত, ইহাই ত সহজে মনে হইবার কথা । সাধারণতঃ গ্রন্থমধ্যে যেমন গ্রন্থকারের নাম থাকে, ইহা ত তাহাই মনে হয়। আর ঋষি শব্দের অর্থ—মন্ত্রদ্রষ্টা বা মন্ত্রশ্রোতা বা মন্ত্রলব্ধ বলা হয় । সুতরাং যে ঋষি যে সত্য উপলব্ধি করিয়া যে মন্ত্র রচনা করিয়াছেন, সেই মন্ত্রে সেই ঋষির নাম উক্ত হইয়াছে—এইরূপ সিদ্ধান্তই ত স্বাভাবিক । ইহার উত্তর এই যে, প্রত্যেক মন্ত্রে যে ঋষি ছন্দ ও দেবতা প্রভৃতির উল্লেখ, তাহাও বেদ, তাহাও বেদমন্ত্রের অঙ্গ, তাহা বেদবহিভূত নহে । সুতরাং প্রত্যেক মস্ত্রের প্রত্যেক ঋষি সেই মন্ত্রের দ্রষ্টা বা রচয়িতা হইতে পারেন না । তাহার পর ঋষি যদি মন্ত্রদ্রষ্ট হন, তবে দৃপ্তবস্তু—যেমন দর্শনক্রিয়ার পূৰ্ব্বে থাকে, তদ্রুপ সে মন্ত্রও পূৰ্ব্বে ছিল— ইহাই সিদ্ধ হয়। শ্রোতা হইলেও শ্রোতব্য মন্ত্রের অস্তিত্ব পূৰ্ব্বেই সিদ্ধ হয়। লব্ধ হইলেও তাঁহাই ঘটে। আর ঋষি সত্য উপলব্ধি করিয়া সেই সত্য তিনি যে ভাষার দ্বারা প্রকাশ করিয়াছেন সেই ভাষাই বেদ—ইহাও বলা যায় না। কারণ, সেই ঋষিকে সত্য উপলব্ধির সাধন উপদেশ করিল কে ? সিদ্ধফলপ্রদ সাধন উপদেশ করিতে