পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ বেদ মানিব কেন ? আরম্ভে জীবকে জ্ঞান দান করেন, তবে তাহা শব্দদ্বারাই হইবে । মহাপুরুষের স্পর্শে যে জ্ঞানোদয় হয়, তাহা জ্ঞানের প্রতিবন্ধকক্ষয় মাত্র । তৎপরেও শব্দের আবশ্যক হয়, তাহা অনেক স্থলে মনে মনেই সেই মহাপুরুষই প্রদান করেন। স্বপ্নে মন্ত্ৰলাভ ইহার দৃষ্টান্ত। আর কোন দেশে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন ব্যক্তিরই ইহা হয়। এইরূপে উদিত জ্ঞানকেও যদি যুগ-যুগান্তর ধরিয়া প্রকাশ করিতে হয়, তাহা হইলে আবার সেই ভাষারই প্রয়োজন হইবে। আর সেই জ্ঞান যদি যথার্থভাবে প্রকাশ করিতে হয়, তবে তাহার জন্য নির্দিষ্ট শব্দেরই প্রয়োজন হইবে । সুতরাং যে জ্ঞানদান করিয়া ঈশ্বর জীবনিবহের কল্যাণ সাধন করিবেন, সে জ্ঞান দীয়মান জ্ঞান বলিয়া শব্দের দ্বারাই প্রকাশু হয়। আর শব্দের দ্বারা একেবারে অপ্রকাশ্য বিষয়ই নাই, অর্থাৎ সকল জ্ঞানের প্রকাশক সাক্ষাৎভাবে শব্দ না হইলেও “প্রকাশ করা যায় না” বলিয়াও শব্দ তাহাকে ত প্রকাশ করিয়া থাকে। মহাপুরুষ ত আর লক্ষ লক্ষ বৎসর জীবিত থাকিবেন না যে, সংস্পশে সকলের প্রতিবন্ধক ক্ষয় করিয়া জ্ঞানের বিকাশ করিয়া দিবেন ? জ্ঞানধারা চিরকাল প্রবাহিত রাগ্নিতে হইলে শব্দেরই শরণ গ্রহণ করিতে হইবে । বাচস্পতি মিশ্র যাহা বলিয়াছেন তাহার অভিপ্রায় অন্ত । অর্থাৎ