পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ মানিব কেন ? २१ পাঠভেদ ও ক্রিয়াভেদ মনুষ্যকর্তৃক রচনারই নিদর্শন। অতএব বেদের নিত্যতা ও স্বতঃপ্রামাণ্য সিদ্ধ হয় না । ইহার উত্তর এই যে, পাঠভেদ ও ক্রিয়াভেদবশতঃ বেদের নিত্যত্বের বা অপৌরুষেয়ত্বের অথবা স্বতঃপ্রমাণ্যের কোন ব্যাঘাত হয় না । বেদ আবির্ভাবের পর সম্প্রদায়মধ্যে বিশ্বতি ঘটিয়া এরূপ হইয়াছে—বলিলে কোন দোষ হয় না । আর ইহা যখন বেদব্যাসের ন্যায় অবতার পুরুষও মান্ত করিয়াছেন, তখন আজ আমাদের মধ্যে সে আশঙ্কা বাহুল্যবিশেষ । আল্লোপনিষৎ, চৈতন্তোপনিষৎ, খুষ্টোপনিষৎ এবং রামকৃষ্ণোপনিষৎ প্রভৃতি নুতন নূতন উপনিষৎ দেখিয়া আসল উপনিষদেও সংশয় জন্মান স্বাভাবিক বটে। এজন্য যে সকল উপনিষদের শাখা আছে, তাহাদের প্রামীণ্যে কোন সংশয় হওয়া উচিত হয় না । আচাৰ্য্যগণও তাহাই গ্রহণ করিয়াছেন। যদি বলা যায়—যিনি প্রথমে মানবকে ভাষা শিক্ষা দিবেন, তিনি কেন অল্পজ্ঞই হডন না ? তাহাকে সৰ্ব্বজ্ঞ বলিয়া স্বীকার করিবার আবশ্যকতা কি ? অনাদি স্বষ্টিতে অনাদি অল্পজ্ঞ যে জীব, পৃথিবীতে প্রথমোৎপন্ন হইয়াছিল সেই ব্যক্তিই অপর মানবকে শিক্ষণ দিয়াছে । সৰ্ব্বজ্ঞ প্রথম শিক্ষক স্বীকারের প্রয়োজন কি ?