পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२br বেদ মানিব কেন ? ইহার উত্তর এই যে, তবে না শিখিয়াই ভাষার স্ফৰ্ত্তি হইয়াছে স্বীকার করিতে হইবে । কিন্তু না শিখিয়া ত বর্ণাত্মক ভাষার স্ফত্তি হয় না। ইহা ত পরীক্ষসিদ্ধ বিষয়। আর— অল্পজ্ঞ ব্যক্তি অল্প বিষয় জানিল কিরূপে ? ভাষা ত নিজে নিজে ফৰ্ত্তি পায় না! যে জানাইয়াছে সেও অল্পজ্ঞ হইলে তাহাকে জানাইল কে ? এইরূপে দেখা যায়–অজ্ঞকে যে ব্যক্তি অল্পজ্ঞ করেন সে ব্যক্তিকে সৰ্ব্বজ্ঞই বলিতে হইবে। অল্পজ্ঞ অনাদি হইলে সৰ্ব্বজ্ঞও অনাদি হইবেন, অল্পজ্ঞ থাকিলেই সৰ্ব্বজ্ঞ থাকিবেন, “জ্ঞ” না স্বীকার করিলে অল্পজ্ঞ বা সৰ্ব্বজ্ঞ হয় না। আর “জ্ঞ” ও সৰ্ব্বজ্ঞ একই কথা হইয়া পড়ে। সীমাবদ্ধ কিছু করিতে গেলেই অসীম স্বীকার স্বাভাবিক হয় । আর যদি বলা হয়, ঈশ্বর স্বীকার করিব কেন ? সুতরাং সৰ্ব্বজ্ঞ স্বীকারও নিম্প্রয়োজন হয় ? তাগ হইলে তাহার এক কথায় উত্তর এই যে, জীব ও জগৎ আছে বলিয়া যদি স্বাকার করিতে হয়, তবে তাঙ্গদের সমষ্টিও আছে—স্বীকার করিতে হইবে । ব্যষ্টি থাকিলেই সমষ্টি থাকিবে । বহু থাকিলেই এক থাকিবে । বহুর মধ্যে এক আছে বলিয়া সমগ্র বহুতে একত্ববুদ্ধিও স্বাভাবিক। বস্তুত:, অবয়ব হইতে অবয়বী যেমন অতিরিক্ত, তদ্রুপ ব্যষ্টির যাহা সমষ্টি, তাহ