পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ মানিব কেন ? ২৯ অতিরিক্তই হয়—তাহাতে ব্যষ্টি হইতে অতিরিক্ত কিছু ধৰ্ম্ম থাকেই থাকে। সমষ্টি ব্যষ্টিনিষ্ঠ হইলেও সমষ্টিতে ব্যষ্টি হইতে অতিরিক্ত ধৰ্ম্ম থাকে। এই কারণে জীবের অল্পজ্ঞান ও অল্পশক্তি যেমন আছে, জীবসমষ্টি ঈশ্বরে তদ্রুপ সৰ্ব্বজ্ঞান ও সৰ্ব্বশক্তি অবশ্যই থাকিবে । ঈশ্বর স্বীকারে নানা যুক্তি আছে, তাহা প্রদর্শন করা এ স্থলে লক্ষ্য নহে। এই ঈশ্বর ব্ৰহ্মার রূপে আদি মানবরূপ ধারণ করিয়া বেদদান করিয়াছেন, এই কারণেই বেদ কাহারও রচিত নহে, বেদ পৌরুষেয় নহে ; বেদ নিত্য, বেদ ঈশ্বরসমান নিত্য । আর সেই বেদমধ্যেই বেদের নিত্যতাপ্রভৃতি জ্ঞাপিত হওয়ার বেদ স্বতঃপ্রমাণ, বেদ অন্যপ্রমাণনিরপেক্ষ সত্য । যাহা অঙ্গপ্রমাণদ্বারা, বেদ না জানিয়াও জানা যায়, তাহ বেদ উপদেশ করে না । তাং: হইলে আর বেদের প্রামাণ্য থাকে না । বেদ তাহা হইলে অমুবাদ হইয়া যায়। যাহা বেদ উপদেশ করে, তাহা একমাত্র বেদ দ্বারাই জ্ঞেয়। অন্য প্রমাণ তাহার সহায়তা পৰ্য্যন্ত করিতে পারে। যেমন দেবতার কথা, বেদ হইতে জানিয়া সাধনবলে যখন র্তাহীদের দর্শনলাভ হয়, তখন চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয় সহায়তার জন্য আবশ্বক হয়—এইমাত্র। অসঙ্গ ব্ৰহ্ম বেদৈক-মাত্র জ্ঞেয়। স্বাধীনভাবে অনুমানাদি তাহা জানাইতে পারে না ।