পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ মানিব কেন ? ৩১ বেদমধ্যেই আছে, অন্য কুত্রাপি নাই। অন্তত্র স্বীকার করিবার ইচ্ছা যদি হয়, তবে তাহা বেদের পরবর্তী ও বেদের পরে প্রকাশিত বলিয়া তাহা বেদেরই ছায়াবিশেষ এবং তাহ পরম্পরাসম্বন্ধে বেদ হইতেই লব্ধ বলিতে হইবে। আর বেদ যে আদিভাষা তাহা বেদই বলে, এবং ইহা যে সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীনভাষা, তাহা আধুনিক বৈজ্ঞানিক ঐতিহাসিকগণও স্বীকার করিয়া থাকেন। আর একই অর্থ একই শব্দে যথার্থভাবে প্রকাশিত হয়, অন্তশব্দদ্বারা যথার্থভাবে তাহ প্রকাশিত হয় না, এজন্য সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বরপ্রোক্ত অরচিত নিত্য স্বতঃপ্রমাণ বেদদ্বারাই যথার্থ নি:শ্রেয়স লাভ হইবার কথা । অন্য ভাষার দ্বারা বা অন্য ব্যক্তির দ্বার, অথবা বেদোক্ত ধৰ্ম্ম ভিন্ন অন্ত ধৰ্ম্মের দ্বারা সেই যথার্থ নি:শ্রেয়স কখনই লভ্য হইতে পারে না । যথার্থ নিঃশ্রেয়সজ্ঞাপক ভাষা একটাই হইবে, তাহা অরচিত ভাষাই হইবে, তাহা ঈশ্বরের ভাষাই হইবে, আর তাহ বেদই হইবে। যিনি সাধ বলে সম্পূর্ণ ঈশ্বরত্ব লাভ করিবেন, তিনি ঈশ্বর ভিন্ন নহেন বলিয়া তাহার ভাষা বেদেরই ভাষা হয়, ঈশ্বরেরই ভাষা হয় । সুতরাং বেদোক্ত ধৰ্ম্ম ভিন্ন অন্য ধৰ্ম্মদ্বারা যথার্থ নিঃশ্রেয়সলাভ অসম্ভল । আর এই কারণেই বেদ মানিতে হয়, বেদ ন মানিলে আর