পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪
বেদ মানিব কেন?

শিক্ষা করে। পিতামাতা আত্মীয়স্বজনের ভাষাশ্রবণই এস্থলে উক্ত সামর্থ্যবিকাশের পক্ষে উদ্বোধক হইয়া থাকে। এই উদ্বোধকের অভাব হইলে মানবে ভাষার বিকাশ হয় না।

এজন্য পৃথিবী উৎপন্ন হইবার পর প্রথমোৎপন্ন মানবে ভাষাবিকাশের জন্য যে উদ্বোধক স্বীকার করা হয়, তাহা জগতের পিতৃমাতৃস্থানীয় কোন অনুৎপন্ন নিত্য পুরুষের ভাষাশ্রবণ ভিন্ন আর কিছুই নহে। এই ভাষাই সেই বেদ, আর জগতের পিতৃমাতৃস্থানীয় সেই অনুৎপন্ন নিত্যপুরুষই ব্রহ্মা বা ঈশ্বর। ইনিই আদি মানবকে বেদদান করিয়া বর্ণাত্মক ভাষা শিক্ষা দিয়াছেন। আর ঈশ্বর অনাদি নিত্য এবং সর্ব্বজ্ঞ বলিয়া তাঁহার প্রদত্ত বেদও অনাদি নিত্য অভ্রান্ত এবং অপৌরুষেয় হয়, অর্থাৎ কোন পুরুষের বুদ্ধিকল্পিত বা রচিত নহে। সুতরাং ভ্রমপ্রমাদাদি পুরুষদোষ হইতে বিনির্ন্মুক্ত।

সাধারণতঃ মনে হয়, অর্থবদ্ধ বর্ণাত্মক শব্দরাশি মনুষ্য ভিন্ন প্রথম উচ্চারিত হইতে পারে না। আর তজ্জন্য বেদ মনুষ্যরচিত, ইত্যাদি। কিন্তু এ যুক্তি দুর্ব্বল, এ আপত্তি অমূলক। কারণ, অর্থবদ্ধ বর্ণাত্মক ভাষা মনুষ্য ভিন্ন উচ্চারিত হয় না বলিয়া তাহা মনুষ্যরচিত বলিতে হইবে কেন? উচ্চারিত হওয়া ও রচিত হওয়া ত এক কথা নহে। বস্তুতঃ ঈশ্বরই আদি মানব ব্রহ্মার রূপ ধারণ করিয়া নিত্য অরচিত বেদ