পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেদ মানিব কেন?

উচ্চারণ করিয়া আদিম মানব জাতিকে এই বেদদান করিয়াছেন—ইহাই বলা হয়। আর ঈশ্বরকে সৃষ্টিকর্ত্তা বলিয়া মানিলে তাঁহার পক্ষে মানবরূপ ধারণ অসম্ভবও নহে এবং যুক্তিবিরুদ্ধও নহে। বেদ মানবরূপী ঈশ্বরপ্রোক্ত, ঈশ্বররচিত নহে। মানব ভিন্ন বর্ণাত্মক শব্দ প্রথম উচ্চারিত হয় না বলিয়া বেদ মানবরচিত বলিবার কোন হেতুই নাই। বস্তুতঃ, বেদ ঈশ্বরপ্রোক্ত—এ কথা সেই বেদমধ্যেই আছে। সুতরাং বেদ মনুষ্যরচিত বলিবার কোন কারণ নাই।

যদি বলা হয় বেদমধ্যে বেদোৎপত্তির কথা থাকে কি করিয়া? বেদোৎপত্তির বর্ণনও কি বেদ হইতে পারে? ইহার উত্তর এই যে, সৃষ্টি অনাদি, এবং প্রতিকল্পেই ভগবান্‌ মানবকে এইরূপে শিক্ষা দিয়া থাকেন বলিয়া বেদে যেমন অপর সনাতন সত্যের কথা উক্ত হইয়া থাকে, তদ্রূপ এই সনাতন সত্য কথাটীও কথিত হইয়াছে। যেহেতু বেদের অংশবিশেষ মুণ্ডক উপনিষদে আছে—

“ব্রহ্মা হ দেবানাং প্রথমঃ সম্বভূব,
সঃ অথর্ব্বায় জ্যেষ্ঠপুত্ত্রায় প্রাহ”

অর্থাৎ ব্রহ্মা দেবগণের মধ্যে প্রথম উৎপন্ন হন, তিনি তাহার জ্যেষ্ঠপুত্ত্র অথর্ব্বকে এই বেদ দিয়াছিলেন, ইত্যাদি।