পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ట ; অনেক নদীর জল অনেক নদীর জল উবে গেছে— ঘর বাড়ি সাকো ভেঙে গেল ; সে-সব সময় ভেদ ক’রে ফেলে আজ কারা তবু কাছে চলে এলো । যে-সূর্য অয়নে নেই কোনো দিন, — মনে তাকে দেখা যেত যদি— যে-নারী দেখে নি কেউ—ছ'সাতটি তারার তিমিরে হৃদয়ে এসেছে সেই নদী । তুমি কথা বল—আমি জীবন মৃত্যুর শব্দ শুনি : সকালে শিশিরকণা যে-রকম ঘাসে অচিরে মরণশীল হয়ে তবু সূর্যে আবার মৃত্যু মুখে নিয়ে পরদিন ফিরে আসে। জন্মতারকার ডাকে বার-বার পৃথিবীতে ফিরে এসে আমি দেখেছি তোমার চোখে একই ছায়া পড়ে : সে কি প্রেম ? অন্ধকার –ঘাস ঘুম মৃত্যু প্রকৃতির অন্ধ চলাচলের ভিতরে । স্থির হয়ে আছে মন ; মনে হয় তবু সে ধ্রুব গতির বেগে চলে, মহা-মহা রজনীর ব্রহ্মাওকে ধরে ; স্মৃষ্টির গভীর গভীর হংসী প্রেম নেমেছে—এসেছে আজ রক্তের ভিতরে । ‘এখানে পৃথিবী আর নেই— ব’লে তারা পৃথিবীর জনকল্যাণেই বিদায় নিসেছে হিংসা ক্লান্তির পানে ; কল্যাণ কল্যাণ ; এই রাত্রির গভীরতর মানে । শাস্তি এই আজ ; এইখানে স্মৃতি ; এখানে বিস্মৃতি তবু ; প্রেম ক্রমায়াত আঁধারকে আলোকিত করার প্রমিতি ।