পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুচ্ছ, খণ্ড, অল্প সময়ের স্বত্ব কাটায়ে অঞ্চণী তোমাকে কাছে পাবে তোমার নিবিড় নিজ চোখ এসে নিজের বিষয় নিয়ে যাবে ? সময়ের কক্ষ থেকে দূর কক্ষে চাবি খুলে ফেলে তুমি অন্য সব মেয়েদের আত্মঅন্তরঙ্গতার দান দেখায়ে অনঙ্ককাল ভেঙে গেলে পরে, যে-দেশে নক্ষত্র নেই—কোথাও সময় নেই আর— আমারে হৃদয়ে নেই বিভা— দেখাবে নিজের হাতে—অবশেষে—কা মকরকেতনে প্রতিভা । তিন তুমি আছ জেনে আমি অন্ধকার ভালো ভেবে যে-অতীত আর যেই শীত ক্লান্তিহীন কাটায়েছিলাম, তাই শুধু কাটায়েছি। কাটায়ে জেনেছি এই-ই শূন্ত, তবু হৃদয়ের কাছে ছিল অন্ত্য-কোনো নাম | অন্তহীন অপেক্ষার চেয়ে তবে ভালো দ্বীপাতীত লক্ষ্যে অবিরাম চ’লে যাওয়া । শোককে স্বীকার ক’রে অবশেষে তবে নিমেষের শরীরের উজ্জ্বলায় অনন্তের জ্ঞানপাপ মুছে দিতে হবে। আজ এই ধ্বংসমত্ত অন্ধকার ভেদ ক’রে বিদ্যুতের মতো তুমি যে শরীর নিয়ে রয়ে গেছ, সেই কথা সময়ের মনে জানাবার আধার কি একজন পুরুষের নির্জন শরীরে একটি পলক শুধু –হৃদয়বিহীন সব অপার আলোকবর্ষ ঘিরে ? অধঃপতিত এই অসময়ে কেব। সেই উপচার পুরুষমাহষ — ভাবি আমি ;–জানি আমি, তবু সে-কথা আমাকে জানাবার হৃদয় আমার নেই ;– যে-কোনো প্রেমিক আজ এখন আমার