পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কে বা কাকে জ্ঞান দেবে—জ্ঞান বড় দূর পৃথিবীর রুক্ষ গল্পে ;– আমাদের জন্তে तूब-मूहउब्र অাজ । সময়ের ব্যাপ্তি যেই জ্ঞান আনে আমাদের প্রাণে তা তো নেই ;–স্থবিরত আছে—জরা আছে। চারিদিক থেকে ঘিরে কেবলি বিচিত্র ভয় ক্লান্তি অবসাদ রয়ে গেছে। নিজেকে কেবলি আত্মক্রেীড় করি ; নীড় গড়ি। নীড় ভেঙে অন্ধকারে এই যৌন যৌথ মন্ত্রণার মালিন্ত এড়ায়ে উৎক্রান্ত হতে ভয় পাই । সিন্ধুশব্দ বায়ুশব্দ রৌদ্রশব্দ রক্তশব্দ মৃত্যুশব্দ এসে ভয়াবহ ডাইনীর মতো নাচে–ভয় পাই—গুহায় লুকাই ; লীন হতে চাই-লীন—ব্ৰহ্মশব্দে লীন হয়ে যেতে চাই। আমাদের দু'হাজার বছরের জ্ঞান এ-রকম। নচিকেতা ধর্মধনে উপবাসী হয়ে গেলে ষম প্রীত হয়। তবুও ব্রহ্মে লীন হওয়াও কঠিন। আমরা এখনও লুপ্ত হই নি তো । এখনও পৃথিবী সূর্যে সুখী হয়ে রৌদ্রে অন্ধকারে ঘুরে যায় । থামালেই ভালো হত—হয়তো বা ; তবুও সকলই উৎস গতি যদি, রৌদ্রগুভ্র সিন্ধুর উৎসবে পাখির প্রমাথা দীপ্তি সাগরের সূর্যের স্পর্শে মানুষের হৃদয়ে প্রতীক ব'লে ধরা দেয় জ্যোতির পথের থেকে যদি, তাহলে যে আলো অর্ঘ্য ইতিহাসে আছে, তবু উৎসাহ নিবেশ যেই জনমানসের অনির্বচনীয় নিঃসঙ্কোচ এখনও আসে নি তাকে বর্তমান অতীতের দিকচক্রবালে বার-বার নেভাতে জালাতে গিয়ে মনে হয় আজকের চেয়ে আরো দূর অনাগত উত্তরণলোক ছাড়া মানুষের তরে সেই প্রীতি, স্বৰ্গ নেই, গতি আছে —তবু গতির ব্যসন থেকে প্রগতি অনেক স্থিরতর ; সে অনেক প্রতারণাপ্রতিভার সেতুলোক পার হল বলে স্থির ;–ইতে হবে ৰ'লে দীন, প্রমাণ, কঠিন ;