পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি রকম সাহসিকা চেয়ে দেখে,—সূর্যের কিরণে নিমেষেই বিকারিত হয়ে ওঠে ;—অমর ব্যথায় অসীম নিরুৎসাহে অস্তহীন অবক্ষয়ে সংগ্রামে আশায় মানবের ইতিহাস-পটভূমি অনিকেত না কি ? তবু, অগণন অৰ্ধসত্যের উপরে সত্যের মতো প্রতিভাত হয়ে নব নবীন ব্যাপ্তির সর্গে সঞ্চারিত হয়ে মানুষ সবার জন্যে শুভ্রতার দিকে অগ্রসর হতে চায়—অগ্রসর হয়ে যেতে পারে। 《: : পটভূমির পটভূমির ভিতরে গিয়ে কবে তোমায় দেখেছিলাম আমি দশ-পনেরো বছর আগে –সময় তখন তোমার চুলে কালো মেঘের ভিতর লুকিয়ে থেকে বিদ্যুৎ জালালে৷ তোমার নিশিত নারীমুখের ;–জানে তো অন্তর্যামী। তোমার মুখ চারিদিকে অন্ধকারে জলের কোলাহল, কোথাও কোনো বেলাভূমির নিয়ন্ত নেই,—গভীর বাতাসে তবুও সব রপক্লান্ত অবসন্ন নাবিক ফিরে আসে ; তার যুবা, তারা মৃত ; মৃত্যু অনেক পরিশ্রমের ফল। সময় কোথাও নিবারিত হয় না, তবু, তোমার মুখের পথে আজো তাকে থামিয়ে এক দাড়িয়ে আছ, নারি,— হয়তো ভোরে আমরা সবাই মানুষ ছিলাম, তারি নিদর্শনের স্বর্যবলয় আজকের এই অন্ধ জগতে । চারিদিকে অলীক সাগর--জ্যাসন ওডিসিয়ুস ফিনিশিয় সার্থবাহের অধীর আলে,—ধর্মাশোকের নিজের তো নয়,আপতিতকাল আমরা আজো বহন করে, সকল কঠিন সমুদ্রে প্রল লুটে তোমার চোখের বিষাদ ভর্ৎসনা-প্রেম নিভিয়ে দিলাম, প্রিয়।