পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেতেছে নিঃশেষ হয়ে সব ? কী তবে থাকবে ? আাধার ও মননের আজকের এ নিষ্ফল রীতি মুছে ফেলে আবার সচেষ্ট হয়ে উঠবে প্রকৃতি ? ব্যর্থ উত্তরাধিকারে মাঝে-মাঝে তবু কোথাকার স্পষ্ট স্বৰ্য-বিন্দু এসে পড়ে : কিছু নেই উত্তেজিত হলে ; কিছু নেই স্বার্থের ভিতরে ; ধনের অদেয় কিছু নেই, সেই সবই জানে এ খণ্ডিত রক্ত বণিক পৃথিবী ; অন্ধকারে সব-চেয়ে সে-শরণ ভালো : যে-প্রেম জ্ঞানের থেকে পেয়েছে গভীরভাবে আলো । 《a 3 মহাত্মা গান্ধী অনেক রাত্রির শেষে তারপর এই পৃথিবীকে ভালো ব’লে মনে হয় ;– সময়ের আমেয় ওমাধারে জ্যোতির তারণকণা আসে, গভীর নারীর চেয়ে অধিক গভীরতর ভাবে পৃথিবীর পতিতকে ভালোবাসে, তাই সকলেরই হৃদয়ের পরে এসে নগ্ন হাত রাখে ; আমরাও আলো পাই—প্রশান্ত অমল অন্ধকার মনে হয় আমাদের সময়ের রাত্রিকে ও । একদিন আমাদের মর্মরিত এই পুথিবীর নক্ষত্র শিশির রোদ ধূলিকণা মানুষের মন অধিক সহজ ছিল—শ্বেতাশ্বতর যম নচিকেতা বুদ্ধদেবের । কেমন সফল এক পর্বতের সামুদেশ থেকে