“ঠিক বলেছ ফার্গুসন্। বন্দীর প্রাণ আমাদের হাতে—যেমন করে’ই হোক তাঁকে বাঁচাতেই হবে।”
“ভার গুলো হাতের কাছে রাখ। একসঙ্গে ফেলা চাই।”
“অন্ধকারটার কি হবে?”
“অন্ধকার! বেশ ত এখন থাকুক না। আমাদের সব আয়োজন হ'য়ে যাক, তার পর দেখা যাবে। এখন ত অন্ধকার আমাদের ঢেকে রেখে উপকারই করেছে। বন্দুক ঠিক করে' -রাখ জো,—তোমরা প্রস্তুত হও।”
জো এবং কেনেডি ক্ষিপ্র হস্তে সকল বন্দোবস্ত করিলেন।
ফার্গুসন বলিলেন—“জো, তুমি ভার ফেলবে। ডিক্, তোমার উপর গুরুতর কার্য্যভার। তুমি বন্দীকে মুহূর্তে বেলুনের উপরে তুলে নেবে। এইটিই তোমার প্রধান কাজ। জো কাছে থাক। বেলুনের নোঙ্গর খুলে দাও। ”
নোঙ্গর খোলা হইল। অতিশয় ধীরে বাতাস বহিতেছিল বলিয়া বেলুন ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিল। জলকে গ্যাস করিবার নিমিত্ত জলের মধ্যে যে দুইটি বৈদ্যুতিক তার ছিল, ফার্গুসন্ তাহা বাহির করিলেন এবং ব্যাগের ভিতর হইতে দুই খণ্ড কয়লা লইয়া উহাদের অগ্রভাগ তীক্ষ্ণ করিলেন। আবশ্যক মত তীক্ষ্ণ হইলে পর কয়লা দুইখানি তার দুইটিতে বাঁধিলেন। কয়লার দুইটা তীক্ষ্ণ অগ্রভাগ মিলিত হইবামাত্র মুহূর্ত্তে তীব্র আলোকরাশি বিচ্ছুরিত হইয়া চতুর্দ্দিক্ উদ্ভাসিত করিয়া দিল— অন্ধকারের লেশমাত্র রহিল না।