বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দশ পরিচ্ছেদ
১০৩

 কেনেডি পড়িতে পড়িতে বাঁচিয়া গেলেন! কহিলেন “এ আবার কি?”

 ফার্গুসন্ বলিলেন “রাক্ষস কাফ্রিটা বেলুন ছেড়ে দিয়েছে!”

 সকলে দেখিলেন সে চিৎকার করিতে করিতে, বাতাসে ঘুরিতে ঘুরিতে ভূতলে পতিত হইল।

 ফার্গুসন্ বৈদ্যুতিক তার দুইটি পৃথক্ করিলেন। মুহূর্ত্তে সকল আলোক অন্তর্হিত হইয়া গেল। বিরাট অন্ধকার মধ্যে বেলুনের চিহ্ন পর্য্যন্ত কেহ আর দেখিতে পাইল না।

* * * *

 মূর্চ্ছিত ফরাসী যখন চক্ষু চাহিলেন তখন রাত্রি একটা। ফার্গুসন্ ফরাসী ভাষায় কহিলেন—“আপনি এখন মুক্ত। আর ভয় নাই।”

 পাদরী ক্ষীণকণ্ঠে কহিলেন—“আপনাদের অনুগ্রহে আমি আজ অতি নিষ্ঠুর মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। ভ্রাতৃবৃন্দ, তজ্জন্য অশেষ ধন্যবাদ। কিন্তু আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। আমি আর অধিকক্ষণ বাঁচবো না!” তিনি পুনরায় মূর্চ্ছিত হইলেন।

 তাঁহারা অতি যত্নে অতি সাবধানে পাদরীকে শয়ন করাইলেন। তাঁহার দেহে প্রায় ২০|২৫টি অগ্নি-ক্ষত ও বর্শার চিহ্ন বর্ত্তমান ছিল। ক্ষতমুখে তখনো রুধির ঝরিতেছিল। ডাক্তার ফার্গুসন্ ক্ষতগুলি ধৌত করিয়া ঔষধ প্রয়োগ করিলেন।