ওরা মনে করলে আমি কোন মন্ত্র-তন্ত্র করে’ তাকে মেরে ফেলেছি! আমার বধাজ্ঞা প্রচার হ’লো। রজনী প্রভাতেই আমর দেহ শূলে বিদ্ধ হ’তো—দেবদূতের ন্যায় এসে আপনারা আমাকে বাঁচিয়েছেন।”
“আমি যখন বন্দুকের শব্দ শুনলেম তখনিই ‘রক্ষা কর’ বলে’ চিৎকার করেছিলাম। তার পর অনেকক্ষণ গেল, যখন আর কোন সাড়া পেলেম না, তখন মনে করলেম, ওটা বন্দুকের শব্দ নয়—ও আমার জাগ্রত স্বপ্ন মাত্র! আমি যে এখনো বেঁচে আছি, এ—ই আশ্চর্য্য।”
ফার্গুসন্ বলিলেন—
“চিন্তা কি। ধৈর্য্য ধরুন—সাহস করুন। আমরা ত কাছেই আছি। কাফ্রিদের কবল থেকে যখন আপনাকে রক্ষা করতে পেরেছি, মৃত্যুর হাত থেকে কি পারবো না?”
“আমি অত দূর আশা করি না। ভগবানের কাছে আমি অতটা চাই না। মৃত্যুর পূর্ব্বে যে বন্ধুর করস্পর্শ করতে পারলেম—স্বদেশের মধুর কথা শুনতে পেলেম এ-ই যথেষ্ট।”
পাদরী ক্রমেই দুর্ব্বল হইতে লাগিলেন। তাঁহার অবস্থা ক্রমেই শঙ্কটাপন্ন হইতে লাগিল।
বেলুন যেমন চলিতেছিল, তেমনি চলিল।
সন্ধ্যার প্রাক্কালে দেখা গেল, পশ্চিমে ভীষণ অগ্নিকাণ্ড উপস্থিত হইয়াছে! সমস্ত আকাশ আরক্তিম হইয়া উঠিয়াছে!