প্রতীয়মান হইতে লাগিল। কোথাও স্তূপীকৃত প্রস্তরখণ্ড, কোথাও অতি বৃহৎ শিলা প্রতি মুহূর্ত্তেই বলিয়া দিতে লাগিল, এ প্রদেশ একান্ত নীরস, নিতান্ত ঊষর। তথায় বৃক্ষ লতা গুল্ম কিছুই ছিল না। যতদূর চক্ষু চলে কেবল শুষ্ক কঠিন নীরস প্রস্তর রৌদ্র-কিরণে ঝক্ ঝক্ করিতেছিল।
দ্বিপ্রহরে ফার্গুসন্ একটী অতি প্রাচীন গিরিশঙ্কট-মধ্যে অবতরণ করিতে চাহিলেন—ইচ্ছা, তথায় পাদরীকে সমাহিত করিবেন। গ্যাসের উত্তাপ কমিল। বেলুন ধীরে ধীরে নীচে নামিয়া প্রস্তর স্পর্শ করিল। জো এক লম্ফে নিম্নে অবতরণ করিয়া এক হস্তে বেলুন ধরিয়া অপর হস্তে কতকগুলি প্রস্তরখণ্ড তুলিয়া বেলুন-মধ্যে স্থাপিত করিল। বেলুন স্থির হইল। জো আরও প্রস্তর তুলিল। বেলুন অচল হইল। কেনেডি এবং ফার্গুসন্ অবতরণ করিলেন।
গিরিশঙ্কট-মেধ্য অত্যন্ত গরম অনুভূত হইতেছিল। মধ্যাহ্ণতপন তখন মস্তকোপরি অনল বর্ষণ করিতেছিল। তিন জনে চেষ্টা করিয়া পাদরীকে সমাহিত করিলেন।
ফার্গুসন্কে চিন্তান্বিত দেখিয়া কেনেডি কহিলেন—
“কি ভাবছ, ফার্গুসন্?”
“ভাবছি, অক্লান্ত পরিশ্রম করে’ ধৈর্য্যেরসঙ্গে সমস্ত বিপদ্ মাথায় নিতে পারলে, কি পুরস্কারই না মিলতে পারে! প্রকৃতির কি বিসংবাদী ব্যবস্থা। যেখানে কেবল আরাম সেখানে পুরস্কার নাই। যেখানে অগণিত বিপদ্ সেইখানেই