বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ
১১১

সব আছে—ধন, সম্পদ্‌, মান, যা’ চাও। আজ আমরা কোথায় এই বীর ধর্ম্মযাজককে সমাহিত করলেম, জান?”

 “কেন?”

 “এই গিরিশঙ্কট যে স্বর্ণক্ষেত্র! যে পাদরী জীবন–কালে দারিদ্র্য ভিন্ন আর কিছুই জানতেন না, জীবনান্তে তিনি একটা বিপুল স্বর্ণক্ষেত্রে সমাহিত হয়েছেন!”

 “স্বর্ণক্ষেত্রে! এ কি তবে স্বর্ণের খনি?”

 “এই যে সব প্রস্তরখণ্ড তোমরা মূল্যহীন মনে করে’ চরণে দলিত করছ, এর মধ্যেই বিশুদ্ধ স্বর্ণ বর্ত্তমান আছে।”

 জো বলিয়া উঠিল— “অসম্ভব! অসম্ভব!”

 “অসম্ভব নয়, জো। একটু অনুসন্ধান করলেই দেখতে পাবে।”

 জো উন্মত্তের ন্যায় ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত প্রস্তরখণ্ডগুলি অপসৃত করিতে লাগিল।

 ফার্গুসন্‌ বলিলেন

 “জো ঠাণ্ডা হও—ঠাণ্ডা হও। কি করছ? এই অনন্ত সম্পদ্ তোমার কোন্ কাজে আসবে, জো? আমরা ত আর এ সব নিয়ে যেতে পারবো না।”

 “কেন? কেন?”

 “বেলুন অত ভার সইবে কেন?”

 “আপনি বলেন কি! এত সোণা এখানে রয়েছে—আর আমরা কিছু সঙ্গে নিব না!—নিলে বড় মানুষ হ’য়ে যাব!”

 জো উত্তেজিত হইয়া উঠিল।