“সাবধান, জো। স্বর্ণমোহ ক্রমেই তোমায় আছন্ন করে ফেলছে। মনুষ্য-জীবন যে অসার, তা’ কি পাদরীর সমাধি দেখে বুঝতে পারছ না?”
জো বিরক্ত হইয়া কহিল—
“ও সব কথা বক্তৃতায় ভাল শুনায়। এ ত আর শুধু কথা নয়—ভারি ভারি সোণার দলা! আসুন মিঃ কেনেডি, আমরা দু’জনে দু’চার কোটী টাকার সোণা তুলে নি।”
কেনেডি হাসিতে হাসিতে বলিলেন—
“ও দিয়ে আমরা কি করবো, জো! আমরা ত অর্থের কাঙ্গাল হ’য়ে এখানে আসি নাই। তোমার দুই পকেটে কত টাকারই সোণা ধরবে?”
“ভার ত আমাদের নিতেই হ’বে। বালির ভারের বদলে কিছু সোণাই নি না কেন?”
ফার্গুসন্ কহিলেন—
“হাঁ, তা’ নিতে পার। আগেই কিন্তু বলে রাখি, যখনই দরকার হবে, তখনই বিনা ওজরে ভার ফেলতে হ’বে।”
“এ সবই কি সোণা?”
“সবই সোণা। প্রকৃতিরাণী আফ্রিকার এই অতিনিভৃত অজ্ঞ।ত অনধিগম্য প্রদেশে তাঁর সঞ্চিত স্বর্ণরাশি লোকলোচনের অন্তরাল করে’ লুকিয়ে রেখেছেন। কালিডোনিয়া এবং অষ্ট্রেলিয়ার সমস্ত সুবর্ণখনি একত্র করলেও এর তুলনা হয়