বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ
১১৩

 “হায় এত সোণা বৃথা নষ্ট হ’বে! কেউ এর কণামাত্রও পাবে না?”

 “ভগবানের রাজ্যে এমন কত আছে, জো। যা’ হোক্, তোমার তুষ্টির জন্য আমি—”

 বাধা দিয়া জো উচ্চৈঃস্বরে কহিল—“আমার তুষ্টি! কিছুতেই তা’ হবে না—হায় হায় এত সোণা!”

 “আগে শোনই। এ স্থানটার ঠিক পরিচয় আমি লিখে নিচ্ছি। ইংলণ্ডে ফিরে গিয়ে তুমি এই স্বর্ণ-খনির কথা প্রচার করো। দেশের লোক যদি আবশ্যক মনে করে, অবাধে নিয়ে যেতে পারবে।”

 “ভারের বদলে তবে সোণা তুলে নি। যাত্রা-শেষে যা’ অবশিষ্ট থাকবে, তাই নিয়েই তুষ্ট হ’বো।”

 জো বিশেষ আগ্রহের সহিত বেলুনে সোণার ভার তুলিতে লাগিল।

 ফার্গুসন্‌ মৃদু মৃদু হাসিতে লাগিলেন।

 এক মণ, দুই মণ, তিন মণ! জো ক্রমেই ভার তুলিতে লাগিল এবং প্রায় দ্বাদশ মণ তুলিয়া ফেলিল। ফার্গুসন্ বাঙ্নিষ্পত্তি না করিয়া বেলুনে উঠিলেন। কেনেডি আপন স্থানে আসিয়া বসিলেন।

 জো তখনো ভারই তুলিতেছিল!

 ফার্গুসন্‌ গ্যাসে কিছুক্ষণ তাপ দিয়া জোকে ডাকিয়া কহিলেন—“বেলুন ত আর চলে না!”