এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ
জো উত্তর দিল না। তাহার দেহ মন সব এক হইয়া তখন স্বর্ণরাশিতে তন্ময় হইয়াছিল। ফার্গুসন্ আবার ডাকিলেন, “জো—”
একান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেলুনে উঠিয়া জো কহিল, “আজ্ঞা করুন।”
“কিছু ভার ফেলে দাও।”
“আপনিই ত নিতে বল্লেন!”
“বলেছি বৈ কি! কিন্তু অত ভার নিলে কি বেলুন চলবে?”
“অত! অত কৈ?”
“তোমার কি ইচ্ছা যে, আমরা জীবনান্ত কাল পর্য্যন্ত আফ্রিকার এই পাষাণ-স্তূপের মধ্যে আবদ্ধ থাকি?”
জো কাতর দৃষ্টিতে কেনেডির দিকে চাহিল। সে দৃষ্টির অর্থ, উপস্থিত বিপদে সাহায্য-ভিক্ষা। কেনেডি নীরব রহিলেন।
ফার্গুসন্ আবার কহিলেন—
“জো, ক্রমেই দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের জল ফুরিয়ে এসেছে। চারিদিকে প্রস্তর-প্রাচীর। কিছু তার ফেলে দাও—”
“হা—তা—দেখুন দেখি—বেলুনের কলটা খারাপ হয় নি ত?”
“কৈ না। দেখ না—কল ত চল্ছে—গ্যাসও উত্তপ্ত হয়েছে, বেলুন কত বড় হয়েছে!”