জো মাথা চুলকাইতে লাগিল এবং নিতান্ত অনিচ্ছা-সহকারে সর্ব্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র এক খণ্ড স্বর্ণপ্রস্তর তুলিয়া লইয়া তাহার ওজন অনুমান করিল এবং বেলুন হইতে দূরে নিক্ষেপ করিল। বেলুন নড়িল না। জো কহিল—“নিশ্চয়ই কল খারাপ হয়েছে। এই ত ভার ফেলেছি। বেলুন নড়ে না কেন?”
“হয় নাই, জো—আরো ফেলে দাও।”
জো আরও পাঁচসের ফেলিয়া দিল। বেলুন তবুও নড়িল না! সাত সের—দশ সের—বিশ সের—! কি সর্ব্বনাশ! তবুও যে বেলুন নড়ে না!
ফার্গুসন্ বলিলেন—“আমরা তিন জনে প্রায় পাঁচ মণ। পাঁচ মণ ভার ত ফেল!”
“পাঁ-চ-ম-ণ!” জো বিবর্ণ হইয়া উঠিল।
নিরুপায় হইয়া আরও কিছু ভার ফেলিয়া কহিল —
“এই নিন, ঢের ফেলেছি। এই ত বেলুন উঠছে!”
“কৈ? যেমন ছিল তেমনি আছে।”
“এই ত নড়ছে—না? একটু নড়ছে বৈ কি!”
“ফেল—ফেল—আরও ভার ফেলে দাও।”
জো ফেলিতে লাগিল। সে যেন তাহার পঞ্জর চূর্ণ করিয়া নিক্ষেপ করিতেছিল। এতক্ষণে বেলুন নড়িয়া—প্রায় শত ফিট উপরেও উঠিল। ফার্গুসন্ কহিলেন—
“এখনো যে পরিমাণ ভার আছে জো, যদি আর ফেলতে না হয়—”