“যদি না যাই—”
“তা’ হ’লে আমি একাই যাব।”
“কথাটা ক্রমেই গুরুতর হ'য়ে উঠছে দেখছি। এ যদি তোমার ঠাট্টা না হয়, তা’ হ'লে বিশেষ বিবেচনা করে' দেখতে হচ্ছে।”
“বেশ ত—এস না প্রাতর্ভোজন করতে করতেই সব শুনবে।”
দুই বন্ধু তখন একখানি ক্ষুদ্র টেবিলের পার্শ্বে বসিয়া প্রাতর্ভোজন করিতে লাগিলেন। কতকগুলি স্যাণ্ডউইচ্ এবং বড় পাত্রে চা টেবিলের উপর সজ্জিত ছিল। আহার করিতে করিতে কেনেডি কহিলেন,— “ফার্গুসন্, তোমার প্রস্তাবটি পাগলেরই উপযুক্ত। এ ঘে কোন দিন সম্ভব হ’বে, তা’ত বোধ হয় না।”
“চেষ্টা করে’ না দেখলে কেমন করে বলা যাবে যে, সম্ভব হ'বে কি না।”
“আরে ভাই! সেই চেষ্টাই ত করা সম্ভব নয়!”
“কেন?”
‘এতে যে কত বিপদ্ আছে তা' জান? তার উপর বাধাবিঘ্ন ত আছেই।”
“বাধা!” ফার্গুসন্ গম্ভীর হইয়া কহিলেন, “বাধা! সে ত মুহূর্ত্তে দূর হ'বে। বাধা কি চিরদিন থাকে। দূর হ'বার জন্যই তার জন্ম। আর বিপদের কথা বল্ছ? কোথায় বিপদ নাই ভায়া? এই খানার টেবিলে বসে থাকতে থাকতেই