বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ

বিপদের উপর বিপদ্

 বেলুন হইতে ঝম্প প্রদান করিয়া জো প্রথমে চ্যাড হ্রদের অগাধ বারিরাশির মধ্যে নিমজ্জিত হইয়া গেল। কিন্তু মুহূর্ত্ত পরেই উপরে ভাসিয়া উঠিয়া বেলুনের সন্ধানে আকাশের দিকে চাহিয়া কহিল— “আঃ বাঁচলেম! ওই ত বেলুন ক্রমেই উপরে উঠে যাচ্ছে।”

 বেলুন ক্রমেই ক্ষুদ্র হইতে ক্ষুদ্রতর বোধ হইতে লাগিল এবং শেষে একেবারে অদৃশ্য হইয়া গেল।

 বন্ধুদিগকে সম্পূর্ণ নিরাপদ্ দেখিয়া জো’র মন স্থির হইল। সে তখন আত্মরক্ষার উপায় চিন্তা করিতে লাগিল। যতদূর দৃষ্টি চলে, সীমাহীন বিস্তৃত শান্ত স্থির জলরাশি প্রখর সূর্যকিরণে জ্বলিতেছিল।

 জো হৃদয়ে সাহস আনিল। বেলুন হইতে সে হ্রদের মধ্যে একটী ক্ষুদ্র দ্বীপ দেখিয়াছিল। এখন তাহারই সন্ধানে চারিদিকে চক্ষু ফিরাইল।

 ওই না বহুদূরে একটা বিন্দুবৎ কি যেন দেখা যাইতেছে। জো ভাবিল, উহা নিশ্চয়ই একটা দ্বীপ। সে ধীরে ধীরে আপনার