বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৬
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

পরিচ্ছদাদি যথাসম্ভব ত্যাগ করিল এবং সন্তরণ করিয়া সেই বিন্দুর দিকে অগ্রসর হইল।

 প্রায় দেড় ঘণ্টা সন্তুরণের পর জো যখন দ্বীপের সমীপবর্ত্তী হইল, তখন তাহার হৃদয় কম্পিত হইয়া উঠিল। বেলুন হইতেই সে দেখিয়াছিল, শালবৃক্ষ সম দীর্ঘ এক একটি কুম্ভীর সেই দ্বীপের চতুর্দ্দিকে ভাসিয়া বেড়ায়— তীরে শয়ন করিয়া নির্ব্বেবাদে রৌদ্র পোহায়! জলে কুম্ভীর, স্থলে নরখাদক মনুষ্য, কিন্তু তখন আর চিন্তা করিবার অবসর ছিল না। জো অতি সাবধানে অগ্রসর হইতে লাগিল।

 অকস্মাৎ বায়ু-সঞ্চালিত কস্তুরির গন্ধ আসিয়া তাহার নাকে লাগিল।

 জো আপন মনে বলিল—‘সাবধান! কাছেই কুমীর আছে!’

 জো ডুব দিল। ভাবিল, অনেক দূর যাইয়া উঠিবে। কিন্তু পরক্ষণেই দেখিল, কি যেন একটা তাহার অতি নিকট দিয়া ভীম বেগে চলিয়া গেল। জো বুঝিল, কুম্ভীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া বেগে ধাবিত হইয়াছে। জো আবার জলের উপর ভাসিয়া উঠিল এবং প্রাণপণে অন্যদিকে সন্তরণ দিতে আরম্ভ করিল। উন্মত্তের ন্যায় সন্তরণ দিতে দিতে তাহার মনে হইল, কি যেন তাহাকে পশ্চাৎ হইতে ধরিয়াছে। জো চক্ষু মুদিল।

 এ কি! কুম্ভীরে ধরিলে জলের নীচে টানিয়া লয়! জো ত তখনো জলের উপরেই ভাসিতেছিল। তবে কি তাহাকে কুম্ভীরে ধরে নাই? জো চক্ষু চাহিল। দেখিল, ঘোর কৃষ্ণবর্ণ