দুইটী কাফ্রি তাহাকে বজ্রমুষ্টিতে ধরিয়া বিপুল চীৎকার করিতেছে। এতক্ষণে জো একটু শান্ত হইল এবং আপন মনে বলিল— “যা” হোক, কুম্ভীর নয়—নরখাদক কাফ্রি!”
উহাদিগের হস্ত হইতে ত্রাণ পাইবার জন্য জো কোনোরূপ চেষ্টা করিল না। উহারা জো’কে তীরের দিকে টানিয়া লইয়া চলিল। জো মনে মনে ভাবিল, ‘আমি যখন বেলুন থেকে পড়ি, এরা আমাকে নিশ্চয়ই তখন দেখেছিল। আমি ত এদের কাছে স্বর্গের লোক—আকাশ থেকে নেমে এসেছি। আমায় দেখে এরা একটু ভয় করবেই।’
তীরের নিকটে আসিয়া জো দেখিল, স্ত্রী পুরুষ, বালক বালিকা সকলেই তথায় সমবেত হইয়া ঘোর রবে চীৎকার করিতেছে। জ়ো উপরে উঠিবামাত্র সকলে তাহাকে ভক্তিভরে প্রণাম করিল এবং তাহারা পূজা অন্তে মধু-মিশ্রিত দুগ্ধ এবং তণ্ডুল-চূর্ণ ভোগ দিল।
জো অবিলম্বে দুগ্ধ পান করিল দেখিয়া, ভক্তগণ আনন্দে নৃত্য করিতে লাগিল। সন্ধ্যা-সমাগমে গ্রামের যাদুকরগণ সসম্ভ্রমে জোকে একটি কুটীর-মধ্যে লইয়া গেল। সে কুটীরের নানা স্থানে বহুবিধ কবচ ঝুলিতেছিল। নিকটেই স্তূপীকৃত নরকঙ্কাল কাফ্রিদিগের নরমাংস-লোলুপতার পরিচয় প্রকাশ করিতেছিল। জো সেই কুটির-মধ্যে বন্দী হইল! কিছুক্ষণ পরেই কাফ্রিদিগের তাণ্ডব নৃত্যে ও সঙ্গীতে সে স্থান চঞ্চল হইয়া উঠিল। গৃহ-প্রাচীর নলদ্বারা নির্ম্মিত ছিল বলিয়া জো