“এখনো ৮।৯ মাইল দূরে। সৈন্যেরা এসে পড়েছে—অশ্বারোহী—তার আর সন্দেহ নাই।”
ফার্গুসন্ দূরবীক্ষণ লইয়া দেখিয়া কহিলেন—
“আমার বোধ হচ্ছে ওরা আরব। টিব্বুসও হ’তে পারে। আমরাও যে দিকে যাচ্ছি, ওরাও সেই দিকেই যাচ্ছে দেখছি। আমরা এখনই ওদের ধরে’ ফেলবো।”
কেনেডি দূরবীক্ষণ লইলেন। বেলুন চলিতে লাগিল। তিনি দেখিতে দেখিতে কহিলেন—
“ঘোড়-সওয়ারেরা দুই দল হয়েছে। বোধ হচ্ছে—কারো পশ্চাদ্ধাবন করছে। ব্যাপারটা কি! ওরা কার অনুসরণ করছে?”
“ব্যস্ত হ’ও না ডিক্। আমরা ঘণ্টায় ২০ মাইল যাচ্ছি। কোন ঘোড়ার সাধ্য নাই যে, আমাদের সমান যায়।”
“দেখ—দেখ—আরবগুলো যথাশক্তি দ্রুত চলেছে। প্রায় ৫০ জন হ’বে। বাঃ! ওদের অঙ্গবস্ত্র বাতাসে কেমন উড়ছে।”
“আমাদের ভয় কি ডিক্। আমরা মুহূর্ত্তে বহু উচ্চে উঠে যাব।”
“ফার্গুসন্—ফার্গুসন্ এ-ত বড় আশ্চর্য্য ব্যাপার দেখছি! ওরা কি যেন শিকার করছে!”
“মরুভূমির মধ্যে শিকার?”
“ঠিক তাই—ওরা—দেখি দেখি—ঠিক—ওরা একটা মানুষ, শিকার করছে! উঃ লোকটা প্রাণের ভয়ে কত বেগে ঘোড়া চালিয়েছে!”