বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

কত বিপদ্ ঘটতে পারে। ওই টুপিটা তুলে মাথায় দিতে দিতেই কত বিপদ্ আসতে পারে। ভাই, এটা জেনো যে, যা‍’ ঘটবার তা’ ঘটেই রয়েছে—কেউ তা’ বারণ কর্‌তে পার্‌বে না। ভবিষ্যৎটা এই বর্ত্তমানেরই ছায়া—ছায়াটা একটু দূরে আছে বৈ ত নয়?”

 “ব্যস্, এই ত তোমার বক্তব্য? দেখছি তুমি এখনো বড় অদৃষ্টবাদীই আছ।”

 “চিরদিনই ত তাই। অদৃষ্টবাদের যতটুকু ভাল, আমি সর্ব্বদা তার পক্ষপাতী। বিধাতা কপালে কি লিখে রেখেছেন, সে চিন্তায় আমাদের কাজ নাই। তবে লোকে কথায় বলে, ফাঁসীকাঠে যার মৃত্যু লেখা আছে, সে কখনও জলে ডুবে মরে না। এ কথাটা খুবই সত্য।”

 এ কথার যদিও কোনো সদুত্তর ছিল না, কিন্তু কেনেডি নানাবিধ তর্ক করিতে লাগিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরিয়া তর্কবিতর্কের পর কহিলেন—“আচ্ছা যদি আফ্রিকা ভ্রমণ করাই তোমার উদ্দেশ্য হয়, তা' হ'লে এ বিদ্‌ঘুটে উপায়টা ছেড়ে দিয়ে প্রচলিত পন্থা ধর না কেন?”

 “কেন ধরি না জান? আজ পর্য্যন্ত যিনি সে পথে অগ্রসর হয়েছেন, তাঁর চেষ্টাই বিফল হয়েছে। মাঙ্গোপার্ক থেকে আরম্ভ করে' ভোগেল্ পর্য্যন্ত কেউ সফলকাম হ'তে পারেন নাই। মাঙ্গোপার্কের দশা জান? নাইগারের তীরে তিনি নৃশংসভাবে নিহত হয়েছিলেন। আর ভোগেল্? তিনি ওয়াদেই-এর অতল