তোমার হাতেই জো’র প্রাণ! ভারটা আগে ফেল্লে, কিন্তু জো’কে বাঁচানো যাবে না—বেলুন উপরে উঠে পড়বে!”
“আচ্ছা—”
বেলুন তখন আরবদিগের মস্তকের উপর দিয়া উড়িয়া যাইতেছিল। ফার্গুসন্ রজ্জু-মই লইয়া প্রস্তুত রহিলেন। বেলুন যেই জো’র নিকট আসিল, ফার্গুসন চীৎকার করিয়া বলিলেন— “হুসিয়ার কেনেডি!”
“আমি ঠিক আছি।”
“জো—সাবধান—মই ধর।”
ফার্গুসন মই ছাড়িলেন—
জো সে কথা শুনিতে পাইয়াছিল। অশ্বের বেগ সংযত না করিয়াই মই ধরিল। ফার্গুসন্ কহিলেন—
“ডিক্, ভার ফেল—”
আদেশ মাত্রেই কেনেডি ভার ফেলিয়া দিলেন। মুহূর্ত্ত মধ্যে জোকে লইয়া বেলুন উচ্চে উঠিয়া গেল জো যথাশক্তি সেই দোদুল্যমান রজ্জু-মইএর উপর আশ্রয় লইল। পরক্ষণেই দেখা গেল, সে আরবদিগকে লক্ষ্য করিয়া একটী অঙ্গভঙ্গি করিল এবং মার্জ্জারের ন্যায় সুকৌশলে মই বহিয়া বেলুনে উঠিল। আরবগণ রোষে গর্জ্জন করিতে লাগিল। জো বেলুনে উঠিয়াই আবেগপূর্ণ কণ্ঠে কহিল—
“প্রভু এসেছেন—মিঃ ডিক্—“