বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮০
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

 “আমি প্রাণপণে ঘোড়া চালাচ্ছি—ঘোড়ার শক্তিও শেষে ফুরিয়ে এল! ঘোড়াটা হঠাৎ মরে’ পড়ে গেল! আমি তখন একেবারে নিরুপায়। শত্রুর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলেম। এক জন আরব কাছে আসতেই এক লম্ফে তার ঘোড়ার উপর উঠে বসলেম। আরবটার কণ্ঠরোধ করতে দুহূর্ত্তমাত্র সময় লাগলো! আরব ধরাশায়ী হ’লো। তারপর যা যা ঘটেছিল সে সবই ত আপনারা জানেন।”


চতুর্ব্বিংশ পরিচ্ছেদ

বেলুনের দুর্দ্দশা

 দুই তিন দিন অতিবাহিত হইল। বেলুন নির্ব্বিঘ্নে নানা জনপদের উপর দিয়া টিম্বাক্টু নগরের নিকটবর্ত্তী হইল। পর্য্যটক বার্থ টিম্বাক্টুর যে মানচিত্র অঙ্কিত করিয়াছিলেন, ফার্গুসন্ তাহা মিলাইয়া লইলেন দেখিলেন, শ্বেতবর্ণ বালুকারাশির উপর ত্রিকোণাকৃতি টিম্বাক্টু নগর। নগরোপকণ্ঠে বৃক্ষলতাদি অধিক নাই। রাজপথ অপ্রশস্ত। পথের উভয় পার্শ্বে অদগ্ধ ইষ্টকে গ্রথিত একতল গৃহের সারি। স্থানে স্থানে নলের ও খড়ের কুটীর বর্ত্তমান রহিয়াছে। ঘরগুলি চূড়ার আকারে নির্ম্মিত। কোনো কোনো, গৃহের ছাদের উপর গৃহস্বামী বন্দুক বা বর্শা