বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ
১৮১

হস্তে ভ্রমণ করিতেছে। তাহাদের পরিচ্ছদ সমুজ্জ্বল। বিচিত্র বর্ণে রঞ্জিত।

 ফার্গুসন্ বলিলেন—

 “এ দেশের রমণীরা না কি সুন্দরী। ওই দেখ, তিনটী মসজেদ কোনো প্রকারে দাঁড়িয়ে আছে। ওখানে এক কালে বহু মসজেদ্ ছিল।”

 কেনেডি কহিলেন—“ওই না একটা ভগ্ন দুর্গ-প্রাকার?”

 “হাঁ, দুর্গ-প্রাকারই বটে। একাদশ শতাব্দী থেকে আজ পর্য্যন্ত অনেকেই টিম্বাক্টু নগর করায়ত্ত রাখার চেষ্টা করে’ আসছেন। ষোড়শ শতাব্দীতে এই জনপদ সুসভ্য ছিল। আহহ্মদ বাবার পুস্তকালয়ে তখন যে ১৬০০ খানি হস্তলিখিত পুঁথি ছিল, তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। আজ সেই স্থানের অবস্থা দেখ।”

 বেলুনের আবরণের উপর যে গাটাপার্চা ছিল, তাহা উত্তাপের জন্য স্থানে স্থানে সামান্য গলিয়া গিয়াছিল। বেলুন হইতে অল্পে অল্পে গ্যাস বাহির হইতেছিল। কেনেডি বলিলেন—

 “এখানে কি কোন সংস্কার করা সম্ভব?”

 “না ডিক। এখন আমাদের তাড়াতাড়ি যেতে হ’বে। এই ক’দিনেই অনেকটা গ্যাস কমে’ গেছে। দেখছ না, বেলুন আর বেশী উপরে উঠতে পারে না। আমরা সমুদ্রতীর পর্য্যন্ত যেতে পারব কি না, তাই বা কে জানে। খানিকটা ভার ফেল; বড় ভার হয়েছে।”