বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
১৩

সলিলে চিরদিনের মত অন্তর্হিত হয়েছেন। জান ত আউদ্নির মৃত্যু ঘটেছিল মুর্মুরে, ক্ল্যাপার্টনের সমাধি হয়েছিল সাকাটুতে! শোননি কি যে, ফরাসী-পর্য্যটক মৈজান্কে আফ্রিকার অসভ্য লোকেরা টুক্‌রা টুক্‌রা করে’ কেটে ফেলেছিল—মেজর ল্যাং, রোসার প্রভৃতির শোণিতে আফ্রিকার ভূমি সিক্ত হয়েছিল। তোমাকে অমন কত জনের নাম করবো—শত শত পর্য্যটক আফ্রিকায় জীবন দান করেছেন। দারুণ ক্ষুধা, নিদারুণ শীত, ভীষণ জ্বর, হিংস্র পশু, পশু অপেক্ষাও অধিক হিংস্র অসভ্য বর্ব্বর মনুষ্য—আফ্রিকায় এদের হাত থেকে কারো নিস্তার নাই! যে পথে অগ্রসর হ'য়ে সকলেরই এক দশা ঘটেছে, সেই পথ পরিহার করে’ নূতন পথে যাওয়াই কি সঙ্গত নয়? আমরা যখন আফ্রিকার ভিতর দিয়ে কিছুতেই যেতে পারব না—তখন তার উপর দিয়েই উড়ে' যেতে হবে।”

 কেনেডি কহিলেন “ভায়া শুনলেম ত সব—কিন্তু এ যে পাখীর মত উড়ে' যাবার কথা—”

 বাধা দিয়া ফার্গুসন্ কহিলেন,

 “তাতে ভয় কি? বেলুনটা উড়তে উড়তে যাতে আকাশ থেকে না পড়ে’ যায় তার ব্যবস্থা করেছি। আর ধর নিতান্তই যদি পড়ে’ যায় তা' হ'লে অন্যান্য পর্য্যটকদের মত আমাদেরও পদব্রজেই যেতে হ’বে। কিন্তু ঠিক জেনো যে, আমার বেলুন কখনো পড়বে না।”

 “পড়তেও ত পারে।”