“কেনেডি, বন্দুকগুলো ফেল— দেখছ না আমাদের মৃত্যু নিকট!” জো গম্ভীর কণ্ঠে বলিল—“মিঃ কেনেডি, একটু অপেক্ষা করুন।” পরমুহূর্ত্তেই সে দোলনা হইতে নিম্নে শৈলশিরে অবতরণ করিল! আর্ত্তনাদ করিয়া ফার্গুসন ডাকিলেন—“জো—জো!”
দোলনা তখন আর একটু উঠিয়া শৈলশৃঙ্গ ঘর্ষণ করিতে করিতে চলিল! জো করতালি দিয়া বলিয়া উঠিল—
“এই ত আমরা পর্ব্বত অতিক্রম করেছি।”
জো যে স্থানে অবতরণ করিয়াছিল, তাহা প্রায় ২০ ফিট প্রশস্ত। তাহার পরই ভীষণ গহ্বর—পথহীন তলহীন অন্ধকার! জো বেলুনের সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াইয়া চলিল এবং উহা যাহাতে উড়িয়া না যায়, সেই জন্য এক হস্তে দোলনা ধরিয়া রাখিল।
পলক মধ্যেই বেলুন ও দোলনা গহ্বরের উপরে আসিল। জো দোলনার রজ্জু ধরিয়া সেই মহাশূন্যে ঝুলিতে ঝুলিতে উহার উপর উঠিয়া কহিল—
“মিঃ ডিকের বন্দুক একবার আমার প্রাণ বাঁচিয়েছিল—সেই বন্দুকটা রক্ষা করে ঋণ শোধ দিলাম!”
জো বন্দুকটী লইয়া কেনেডির হস্তে প্রদান করিল।
বেলুন আবার ৩।৪ শত ফিট্ নামিয়া আসিল। সম্মুখে শৈলশ্রেণী দেখিয়া ফার্গুসন্ ইচ্ছা সত্ত্বেও অগ্রসর হইলেন না। ভাবিলেন, প্রভাতে যাত্রা করিবেন।