ফার্গুসন্ কহিলেন—
“তোমাদের কা’রো নামতে হবে না। যদি নামতেই হয় তবে তিন জনেই নামবো।”
জো কহিল—“এ কথা ভাল। একটু হাঁটা মন্দ নয়, বেলুনে বসে থেকে থেকে পা ধরে গেছে!”
“একবার দেখা যাক এস, কি ফেলে দেওয়া যেতে পারে।”
কেনেডি গম্ভীর ভাবে বলিলেন—
“আমার বন্দুক ভিন্ন ত ফেলার আর কিছু দেখি না।”
“কেন? গ্যাসে তাপ দিবার যন্ত্রটা ফেলে দাও। তা’ হ’লে প্রায় সাড়ে তিন মণ ভার কমে যাবে।”
“সর্বনাশ! তা’ হ’লে গ্যাসে তাপ দিবে কি করে ফার্গুসন্?”
“উপায় কি ভাই। বিনা যন্ত্রেই যেতে হ’বে। বেলুনটা আমাদের তিনজনকে নিয়ে উড়তে পারবে। যন্ত্রটা খুলে ফেল।”
কার্য্যটী অতীব কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ছিল বটে, কিন্তু জো সাবধানে যন্ত্র খুলিতে লাগিল। কেনেডির শক্তি জো-র কৌশল এবং ফার্গুসনের বুদ্ধি একত্র মিলিত থাকায় অনায়াসে যন্ত্রটী বেলুন হইতে বিচ্ছিন্ন হইল। যন্ত্রের নলগুলি বেলুনের ঊর্দ্ধদিকে লোহার তার দ্বারা আবদ্ধ ছিল। বেলুন দুলিতেছিল। অকুতোভয় জো নগ্নপদে রজ্জু বহিয়া উপরে উঠিল এবং রেশমের আবরণ ছিন্ন না করিয়া অতি সাবধানে নলগুলি খুলিয়া দিল।
আহারান্তে ফার্গুসন্ কহিলেন, “বন্ধুগণ, তোমরা অত্যন্ত