শ্রান্ত হয়েছ। নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাও। রাত্রি দু’টার সময় আমি কেনেডিকে ডেকে তুলবো। কেনেডি, দু’ঘণ্টা পাহাড়া দিয়ে জোকে তুলে দিও।”
কেনেডি এবং জো মুক্ত আকাশতলে নিদ্রা গেলেন। চিন্তাক্লিষ্ট ফার্গুসন্ বেলুনের প্রহরী-কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন। অজানিত অসভ্য বর্বর দেশ। দেশের অধিবাসিগণ রাক্ষসতুল্য। পদে পদে কানন কান্তার শৈল! বেলুন আজ দাস নহে, প্রভু! ফার্গুসন্ তাই অত্যন্ত ভীত হইলেন।
প্রকৃতি সুষুপ্তা। মেঘাচ্ছাদিত চন্দ্রের ক্ষীণালোকে বনভূমি মধ্যে মধ্যে আলোকিত হইতেছিল। ক্বচিৎ কোনো পক্ষীর পক্ষবিধূনন-শব্দে সেই নৈশ নিস্তব্ধতা ভঙ্গ হইতেছিল, দূরে নিশাচর প্রাণীর হুঙ্কার শুনা যাইতেছিল।
অকস্মাৎ ফার্গুসন্ চমকিয়া উঠিলেন। মনে হইল বনমধ্যে কি একটা অস্পষ্ট শব্দ হইল। বৃক্ষ-শ্রেণার ভিতর দিয়া যেন ক্ষীণ একটী আলোক-ধারা দেখা গেল। ফার্গুসন্ কান পাতিয়া রহিলেন— বিশেষ মনোযোগের সহিত অন্ধকারের ভিতর চক্ষু চাহিয়া রহিলেন।
কৈ কিছুইত শুনা যায় না—কিছুইত দেখা যায় না!
ফার্গুসন্ ধীরভাবে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন।
রাত্রি দুইটা বাজিল। তিনি কেনেডিকে জাগরিত করিলেন এবং বিশেষ সতর্কতার সহিত পাহারা দিতে বলিয়া শয়ন করিলেন।