কেনেডি চুরুট ধরাইয়া গম্ভীর ভাবে বসিয়া রহিলেন। সমস্ত দিবসের অশেষ পরিশ্রমে তাঁহার শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়াছিল। এক একবার নিজের অজ্ঞাতে চক্ষু মুদ্রিত হইয়া আসিতে লাগিল। কেনেডি চক্ষু মুছিলেন, আবার চুরুট ধরাইলেন। বেলুন ধীর বাতাসে ধীরে ধীরে দুলিতেছিল। শ্রান্ত কেনেডির চক্ষু আবার মুদ্রিত হইয়া আসিল।
কেনেডি পুনঃ পুনঃ চক্ষু চাহিলেন, পুনঃ পুনঃ চক্ষু মুছিলেন। ঘন ঘন ধূম পান করিতে লাগিলেন। কিছুতেই ঘুম গেল না। কেনেডি আপনার অজ্ঞাতে ঘুমাইয়া পড়িলেন।
হঠাৎ কেনেডির কর্ণে গেল—পট্ পট্ পট্! তিনি চমকিয়া উঠিলেন। দেখিলেন, চারি দিকে অগ্নিকুণ্ড! অনলের লোল জিহ্বা বৃক্ষ লতা গুল্ম সমস্তই গ্রাস করিতেছে। তীব্র জ্বালাময় বায়ু বহিতে আরম্ভ করিয়াছে। ধূমে চতুর্দ্দিক সমাচ্ছন্ন হইয়াছে। সেই অনলসমুদ্রের গর্জ্জন দূর সমুদ্রগর্জ্জনবৎ বোধ হইতেছে। কেনেডি চীৎকার করিয়া উঠিলেন— “আগুন! আগুন!”
ফার্গুসন ও জো উঠিয়া বসিলেন। তখন বনমধ্যে কাফ্রিদিগের আনন্দধ্বনি শ্রুত হইতেছিল।
ফার্গুসন বলিলেন—“ওরা আমাদের পুড়িয়ে মারতে চায়, দেখছি—!”
ভিক্টোরিয়ার চতুর্দ্দিকে তখন একটা তীব্র অগ্নিবৃত্ত হু হু করিতেছিল। শুষ্ক কাষ্ঠের দাহন-শব্দ, অগ্নিরাশির ভীম গর্জ্জন, তালিবা দস্যুদিগের বিকট নিনাদ মুহূর্ত্তের জন্য ফার্গুসনের হৃদয়ে