জো বিদ্রূপ করিয়া কহিল—“তালিবার গুলি এতদূর আসে না।” সে আপন বন্দুক তুলিল এবং নিমেষে সর্ব পূরোবর্ত্তী তালিবাকে নিহত করিল। সঙ্গীর এই আকস্মিক মৃত্যু-দর্শনে অন্যান্য তালিবাগণ অশ্বের বেগ সংযত করিয়া কিয়ৎক্ষণের জন্য স্থির হইয়া দাঁড়াইল। বেলুন সেই অবসরে খানিকটা দূর অগ্রসর হইল।
ফার্গুসন্ বলিলেন—“যদি বেলুন নেমে পড়ে, ওদের হাতে পড়তেই হ’বে। যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ! ফেল—পেমিকান্ “ফেল!”
ইতোমধ্যেই বেলুন অনেক নামিয়া গিয়াছিল, পেমিকান্ নিক্ষিপ্ত হইলে পর কিছুদূর উপরে উঠিল।
তালিবাগণ ভীমনাদে গর্জ্জন করিতে লাগিল।
অর্দ্ধ ঘণ্টা গেল। ভিক্টোরিয়া পুনরায় দ্রুতবেগে নিম্নগামী হইল। রেশমের বহিরাবরণ দিয়া তখন সোঁ সোঁ করিয়া গ্যাস বাহির হইতেছিল।
বেলুন নামিল। আরো নামিল। আরো—আরো——শেষে দোলনা আসিয়া ভূমি স্পর্শ করিল!
উত্তেজিত উল্লসিত তালিবাগণ বেগে বেলুনের দিকে ধাবিত হইল।
ভূমি স্পর্শ করিবামাত্রই বেলুন এক লম্ফে আবার খানিকটা উপরে উঠিল এবং প্রায় এক মাইল দূরে গিয়া পুনরায় ভূপৃষ্ঠে আশ্রয় লইল।