ফার্গুসন্ হাঁকিলেন—
“ব্রাণ্ডিটুকু ফেলে দাও, জো—যন্ত্রগুলো ফেল। যা কিছু পার সব ফেলে নোঙ্গরটাও ফেলে দাও।”
বায়ুমান-যন্ত্র তাপমান-যন্ত্র প্রভৃতি সমস্তই নিক্ষিপ্ত হইল বটে, কিন্তু কোন ফল হইল না। বেলুন কয়েক হস্ত উঠিয়াই নামিয়া পড়িল।
তালিবাগণ ভীম বেগে অগ্রসর হইতেছিল। ফার্গুসন্ বলিলেন——“ফেল ফেল—এবার বন্দুক ফেলে দাও!”
কেনেডি আপন বন্দুক লইয়া কহিলেন—
“না মেরে ফেলছি না।”
দেখিতে দেখিতে কেনেডির গুলিতে ৪ জন তালিবা মৃত্যুমুখে পতিত হইল। অন্যান্য তালিবাগণ রোষে হুঙ্কার করিয়া উঠিল।
বেলুন আবার উঠিল— কিছুদূর গিয়া আবার পড়িল। রবারের গোলা যেমন সজোরে ভূপৃষ্ঠে পতিত হইবা মাত্রই লাফাইয়া লাফাইয়া চলে, ভিক্টোরিয়াও কিছুদূর তেমনি করিয়া চলিতে লাগিল।
পুনঃ পুনঃ আঘাতে সোঁ সোঁ করিয়া গ্যাস বাহির হইতে লাগিল। বেলুনের বহিরাবরণ নানাস্থানে টোল খাইল।
কেনেডি কহিলেন—
“আর উপায় নাই। বেলুন ছাড়া যাক।”
জো নির্ব্বাক্ হইয়া ফার্গুসনের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। তিনি কহিলেন—