বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষড়্‌বিংশ পরিচ্ছেদ
১৯৫

 “এখনি ছাড়বে? এখনো আমরা একমণ পঁয়ত্রিশ সের ভার ফেলতে পারি।”

 কেনেডি ভাবিলেন ফার্গুসনের হঠাৎ বুদ্ধিভ্রংশ হইয়াছে। নহিলে সে বলে কি!

 তাই তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—

 “কি বল্লে, ফার্গুসন্?”

 “একমণ পঁয়ত্রিশ সের ভার! দোলনাটা ফেলে দাও! বেলুনের রশি ধরে ঝুলে থাক। ফেল— ফেল —”

 তাঁহারা অবিলম্বে বহিরাবরণের বাহিরের জাল বাহিয়া উঠিলেন। জো কৌশলে বন্ধন কাটিয়া দিল। বেলুন তখন নীচে নামিতেছিল, কিন্তু দোলনাটা খুলিয়া পড়ায় প্রায় ৩০০ ফিট উপরে উঠিয়া গেল।

 উপরে বায়ু-প্রবাহ প্রবল ছিল। ভারমুক্ত বেলুন অতিশয় বেগে ধাবিত হইল। তালিবাদিগর অশ্ব ক্রমেই পশ্চাতে পড়িতে লাগিল। নিকটেই একটা অনুচ্চ পর্ব্বত ছিল। বেলুন উহার শৃঙ্গের উপর দিয়া অনায়াসে পার হইয়া গেল। কিন্তু উহা তালিবা অশ্বারোহিদিগের গতি রোধ করিল। পর্ব্বতটী বেড়িয়া না আসিলে তাঁহাদিগের আসিবার আর উপায় ছিল না। তাঁহারা তাই উত্তর মুখে ধাবিত হইলেন।

 পর্ব্বত অতিক্রম করিয়াই ফার্গুসন্ বলিলেন—

 “ওই যে নদী—ওই যে নদী দেখা যায়।”

 সত্যই তাঁহারা নদীর নিকটবর্ত্তী হইয়াছিলেন। দুই মাইল