বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

মাত্র দূরে সেনেগালের স্থির বারিরাশি মধ্যাহ্নতপন-কিরণে ঝক্‌ মক্‌ করিতেছিল।

 ফার্গুসন্ কহিলেন—

 “বেশী নয়—আর ১৫ মিনিট—তা’ হ’লেই আমরা রক্ষা পাব!” বেলুন ১৫ মিনিট চলিল না! উহা ধীরে ধীরে নামিয়া পড়িল। নামিবা মাত্রই ধাক্কা খাইয়া আবার ঊর্দ্ধে উঠিল। আবার পড়িল—আবার একটু উঠিল। শেষে নিকটস্থ বৃক্ষের শাখায় বেলুনের জাল জড়াইয়া গেল।

 বন্ধুত্রয় অবিলম্বে অবতরণ করিলেন এবং বেগে নদীর দিকে ধাবিত হইলেন। তাঁহারা যতই নিকটে আসিতে লাগিলেন, ততই একটী গুরুগম্ভীর জলোচ্ছ্বাস-রব কর্ণগোচর হইতে লাগিল। ফার্গুসন্ বলিলেন—

 “আমরা গুইনা প্রপাতের নিকট এসেছি।”

 নদীতীরে কোন প্রকার তরণী, মান্দাস কি ডোঙ্গা কিছুই ছিল না।

 দেড় মাইল বিস্তৃত জলধারা কিয়দ্দূর ভীমবেগে অগ্রসর হইয়া প্রায় ১৫০ ফিট নিম্নে পতিত হইতেছিল। কাহার সাধ্য উহা অতিক্রম করে!

 কেনেডি হতাশ হইয়া বসিয়া পড়িলেন। ফার্গুসন্ তাঁহাকে উৎসাহিত করিয়া কহিলেন—

 “এখনো ভরসা আছে— এখনো উপায় আছে!”

 তিনি সঙ্গীদ্বয়কে সেই পরিত্যক্ত বেলুনের নিকট লইয়া