বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষড়্‌বিংশ পরিচ্ছেদ
১৯৭

গেলেন। তথায় কতকগুলি শুষ্ক তৃণ পড়িয়াছিল। ফার্গুসন্ কহিলেন—“দস্যুরা এখানে আসতে এখনো প্রায় এক ঘণ্টা লাগবে। যত পার তৃণ কুড়াও। তা’ হ’লেই আমরা বাঁচবো!”

 “তৃণ? ঘাস? ঘাস কি হ’বে?”

 “বেলুনেতে গ্যাস নাই! গ্যাসের বদলে গরম বাতাস পূরে নদী পার হ’ব!”

 জো এবং কেনেডি ক্ষিপ্রহস্তে তৃণ সংগ্রহ করিতে লাগিলেন।

 ফার্গুসন্ ছুরিদ্বারা বেলুনের তলদেশে একটী অপেক্ষাকৃত বৃহৎ ছিদ্র করিলেন। বেলুনে যতটুকু গ্যাস ছিল, সব বাহির হইয়া গেল। তিনি তখন নিম্নে সঞ্চিত তৃণে অগ্নি সংযোগ করিলেন। ক্রমেই বেলুনের গর্ভে উষ্ণ বায়ু প্রবেশ করিতে লাগিল এবং অল্পকাল মধ্যেই উহা পুনরায় ফুলিতে আরম্ভ করিল।

 বেলা যখন প্রায় ১টা তখন তাঁহারা দেখিলেন, দুই মাইল দুরে দস্যুদিগের অশ্ব দেখা যাইতেছে।

 কেনেডি বলিলেন—

 “ওরা বোধ হয় ২০ মিনিটের মধ্যে এসে পড়বে।” ফার্গুসন্ তিলমাত্র বিচলিত না হইয়া কহিলেন—

 “আসুক না ওরা। জো আরো তৃণ দাও—আরো—আরো দশ মিনিটের মধ্যেই আমরা সরে’ পড়তে পারবো!

 তখন বেলুনের প্রায় অর্দ্ধেক অংশ উষ্ণ বায়ুতে পূর্ণ হইয়াছিল। ফার্গুসন্ বলিলেন—