বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
১৫

বিস্ময়-বিমিশ্রিত গৌরব ও ভীতির সহিত বন্ধুর দিকে চাহিতে লাগিলেন। তাঁহার যেন মনে হইতে লাগিল তিনি অনন্ত শূন্য বায়ুরাশির মধ্যে চলিতেছেন! কিছুক্ষণ পর কেনেডি কহিলেন—

 “বেলুনকে চালিয়ে নিয়ে যাবার কোনো একটা উপায় তা' হ'লে তুমি আবিষ্কার করেছ?”

 “তা’ কি কখনো সম্ভব। সে একটা আকাশ-কুসুম মাত্র।”

 “তা’ হ’লে তুমি—”

 “ভগবান্ যেখানে নিয়ে যাবেন সেইখানেই যেতে হ’বে। তবে পূর্ব্ব থেকে পশ্চিমে যে যেতে পারে তা'তে আর সন্দেহ নাই।”

 “কেমন করে?”

 “বাণিজ্য-বায়ুর নাম শোননি কি? আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমে সমান ভাবে বয়ে চলেছে—বিরাম নাই—বিচ্ছেদ নাই—মার্গচ্যুতিও নাই। সেই বাণিজ্য-বায়ুর আশ্রয় নিলেই হবে।”

 “হাঁ হাঁ, ঠিক বলেছ। বাণিজ্য-বায়ুর স্রোতে বেলুনটাকে ছাড়তে পারলে পূর্বব থেকে পশ্চিমে যাওয়া যেতে পারে বটে।”

 ইংরাজ গভর্ণমেণ্ট আমাদের জন্য একখানা জাহাজ ছেড়ে দিয়েছেন। যে সময় আমাদের আফ্রিকার পশ্চিম তীরে পৌঁছানোর কথা, সেই সময়ের তিন চার খানি জাহাজ আমাদের সন্ধানে পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। আমরা বোধ হয় তিন মাসের মধ্যেই জান্‌জিবারে যেতে পারব। সেখানেই বেলুনে গ্যাস পূর্ণ করে’ যাত্রা করা যাবে।”

 কেনেডি চমকিত হইয়া কহিলেন, “আমরা! তুমি আর কে?”