ফার্গুসন্ বাধা দিয়া বলিলেন, “আগে আমাকে বল্তেই দাও। আফ্রিকার এই মানচিত্রখানা দেখ দেখি।”
কেনেডি পুত্তলিকাবৎ অবস্থান করিতেছিলেন। মন্ত্রমুগ্ধবৎ সেই বিস্তৃত মানচিত্রের দিকে চাহিলেন। ফার্গুসন্ বলিতে লাগিলেন,—
“নীল নদী থেকে গণ্ডোরোকো নগর কতটা পথ দেখ।”
“দেখেছি।”
“এই কম্পাশটা নাও। কম্পাশের একটা কাঁটা গণ্ডরোকোর উপর বসাও। অতি বড় সাহসী পর্য্যটকও আজ পর্য্যন্ত গণ্ডরোকো নগরের ত্রিসীমানায় পৌঁছিতে পারেন নাই। গণ্ডরোকো থেকে জান্জিবার কত পথ দেখ। পেয়েছ?”
“হাঁ পেয়েছি।”
“আচ্ছা, এখন কাজে নগরটা খুঁজে দেখ।”
“এই যে, সেটাও পেয়েছি।”
“এখন ৩৩ ডিগ্রীর দ্রাঘিমা ধরে’ বরাবর উপরে ওঠো। উঠছ?”
“হাঁ।”
“বরাবর এগিয়ে এসে, আউকেরিউ হ্রদের কাছ পর্য্যন্ত যাও।”
“এই ত হ্রদটা পেয়েছি। আর একটু হ'লে আমি হ্রদের মধ্যে পড়ে' যেতাম আর কি! তার পর?”
“ওই হ্রদের তীরে যারা বাস করে, তাদের কথা থেকে কি বুঝা যায় জান?”
“না—ওসব খোজ-খবর রাখি না।”