বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
২১

 “এই হ্রদের উত্তর মাথা থেকে একটা জলধারা বেরিয়ে নীল নদীতে এসে পড়েছে। সেইটাই নিশ্চয় নীল নদী।”

 “সে ত বড় আশ্চর্য্য কথা!”

 “তোমার কম্পাশের আর একটা কাঁটা আউকেরিউ হ্রদের উত্তর মাথায় লাগাও। এখন দেখ দেখি কম্পাশের দুই কাঁটার মধ্যে কত ডিগ্রী আছে।”

 “প্রায় দুই ডিগ্রী হ'বে।”

 “দুই ডিগ্রীতে কত মাইল পথ জান?”

 “না ভায়া, তার ধার ধারি না।”

 “এই ধর না প্রায় ১২০ মাইল হ’বে। ১২০ মাইল আর কতটুকু পথ। আর কিছু খবর জান কি?”

 “কি?”

 “ভৌগোলিক সমিতি মনে করেন এই হ্রদটা আবিষ্কৃত ও পরীক্ষিত হওয়া বিশেষ আবশ্যক। কাপ্তান স্পিক্ কাপ্তান গ্রাণ্টের সঙ্গে এই কার্য্যে নিযুক্ত হয়েছেন। একখানা ষ্টিমার খার্টুম্ থেকে তাঁদের গণ্ডরোকো পর্য্যন্ত নিয়ে গেছে। তাঁরা সেখানে অবতরণ করে' হ্রদের সন্ধানে যাবেন। যতদিন ফিরে না আসেন, ষ্টিমারখানা থাকবেই।”

 “এ ত বেশ বন্দোবস্ত।”

 “তুমি বুঝতে পারছ না যে, এই আবিষ্কার-ব্যাপারে কিছুমাত্র সাহায্য করতে হ’লেও, আমাদের তাড়াতাড়ি যাত্রা করা প্রয়োজন।”