“মিঃ কেনেডি, কাল কেমন অগ্রসর হচ্ছে দেখুন। এমন দিন নিশ্চয়ই আসবে যখন আমরা অনায়াসে চন্দ্রলোকে যেতে পারবো।”
“তুমি বুঝি আফ্রিকার সেই চন্দ্ররাজ্যের কথা বল্ছ? সে ত আর বেশী দূর নয়—কিন্তু চন্দ্রে যাবার মতই বিপজ্জনক বটে!”
“বলেন কি? বিপজ্জনক? ডাক্তার ফার্গুসন্ সঙ্গে থাকলে আবার বিপদ্?”
“তোমার অগাধ বিশ্বাস নিয়ে তুমি বেশ সুখে আছ। সে সুখ-স্বপ্ন আমি ভেঙ্গে দিতে চাই না। কিন্তু ঠিক জেনো, ফার্গুসন্ এবার যে কাজে হাত দিয়েছে, সেটা পাগলামি ভিন্ন আর কিছুই না। কখনো তার যাওয়া হ’বে না!”
“যাওয়া হ’বে না! হ’তেই পারে না। আপনি কি মিচেলের দোকানে তাঁর বেলুনটা দেখেন নি?”
“না দেখি নাই—দেখতে চাইও না।”
“যদি একবার না দেখেন, তা’ হ’লে জানবেন যে একটা খুব ভাল জিনিষ আপনার দেখা হলো না। বেলুনটা বড় সুন্দর হয়েছে। আকৃতিই কেমন সুন্দর।”
“তুমি তা’ হ’লে ফার্গুসন্ সঙ্গে নিশ্চয়ই যাচ্ছ?”
“নিশ্চয়ই। যেখানে প্রভু, ভৃত্যও সেইখানে। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আমি সমস্ত পৃথিবীটা ঘুরে এসেছি, আজ কি তাঁকে একা যেতে দিতে পারি? ক্লান্ত হ'য়ে পড়লে কে তাঁকে দেখবে?